ঢাকাশনিবার, ১৪ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৪:৩২
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আকস্মিক রাশিয়া সফরে স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ ১০:২৩ পূর্বাহ্ণ
পঠিত: 36 বার
Link Copied!

পূর্ব কোনো ঘোষণা ছাড়াই রাশিয়ায় গেছেন স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো। ইতোমধ্যে দেখা করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে।

রোববার স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী মস্কোয় পৌঁছান। রোববারই তার সঙ্গে ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠক হয়। স্লোভাকিয়া এবং রাশিয়া দুই তরফই জানিয়েছে, বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে।

ডয়চে ভেলে বলছে, এই বৈঠককে চিহ্নিত করার হয়েছে কাজ চালানোর বৈঠক বা ওয়ার্কিং মিটিং হিসেবে।

ইউরোপের অনেক দেশের মতোই রাশিয়ার গ্যাসের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল স্লোভাকিয়া। শীতের মৌসুমে গ্যাসের চাহিদা আরও বৃদ্ধি পায়।

উল্লেখ্য, ইউক্রেনের উপর দিয়ে গ্যাস লাইন স্লোভাকিয়া পৌঁছায়। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইউক্রেন রাশিয়ার এই গ্যাসের লাইন বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে স্লোভাকিয়ায় গ্যাস পৌঁছাচ্ছে না। কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব, তা নিয়ে বারবার আলোচনা হয়েছে কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি।

কিয়েভ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তারা গ্যাসের লাইন চালু করতে দেবে না। এই পরিস্থিতিতেই পুতিনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসেন ফিকো।

স্লোভাক প্রধানমন্ত্রী ইউরোপীয় ইউনিয়নের তৃতীয় সদস্য, যিনি এই যুদ্ধের পরিস্থিতি রাশিয়ায় গিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করলেন। এর আগে অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর এবং হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী এই কাজ করেছিলেন।

এদিনের বৈঠকের পর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে তবে দুই নেতা যৌথ প্রেস বিবৃতি দেবেন না। স্লোভাকিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, গ্যাস সংকটের মোকাবিলা এবং ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাপ্তি নিয়ে দুই নেতার আলোচনা হয়েছে।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফিকো একটি পোস্টও করেছেন। সেখানে তিনি দাবি করেছেন, তার এই সফরের বিষয়ে গত শুক্রবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের তিনি জানিয়েছিলেন।

ফিকোর দাবি, গত বৃহস্পতিবার গ্যাস নিয়ে একটি প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। তার উত্তরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নিজের অভিমত স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন। তিনি বলেন, কোনোভাবেই গ্যাসের সাপ্লাই লাইন খোলা হবে না। এরপরেই পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেন ফিকো।

ফিকো জানিয়েছেন, শুধু গ্যাস নয়, ইউক্রেন রাশিয়ার পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদনের উপর নিষেধাজ্ঞাকেও সমর্থন করছে। এর ফলেও প্রবল সমস্যা হচ্ছে স্লোভাকিয়ার। পরমাণু বিদ্যুতের উপর ভীষণভাবে নির্ভরশীল স্লোভাকিয়া।

ফিকো এদিন জানিয়েছেন, পুতিন গ্যাস পাঠাতে আগ্রহী। বৈঠকে সেই বার্তাই দিয়েছেন তিনি। কিন্তু ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নিজের অবস্থান পরিবর্তন না করলে গ্যাস পাওয়া অসম্ভব। ফিকোর বক্তব্য, পুতিনের সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধান নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

এদিকে স্লোভাকিয়ায় ফিকোর বিরোধীরা অভিযোগ করেছেন, পুতিনের সঙ্গে বৈঠক না করে প্রধানমন্ত্রীর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বসা উচিত ছিল।