ঝিনাইগাতীতে  জমজমাট কোচিং বাণিজ্য – Newsroom bd24.
ঢাকাশনিবার , ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ঝিনাইগাতীতে  জমজমাট কোচিং বাণিজ্য

আরএম সেলিম শাহী, শেরপুর প্রতিনিধি।
ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩ ১০:০৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঝিনাইগাতীতে অবাধে চলছে নাইট কোচিং বানিজ্য প্রশাসনের দৃষ্টি ফাকি দিয়ে রমরমা কোচিং বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। সরকারী বিধিনিষেধ না মেনে ব্যাঙের ছাতার মতো গজানো এসব কোচিং সেন্টার চলছে অবাধে।
সরকারী নীতিমালা তোয়াক্কা না করে স্কুল ,কলেজ, মাদরাসার সরকারী/এমপিওভূক্ত শিক্ষদের যোগসাজশে চলছে এসব কোচিং সেন্টারগুলো।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরের ব্রীজ রোড, কলেজ রোড, থানা রোড, গার্লস স্কুল রোডে প্রভাতি, দিবা, নাইট কোচিং নামে চলছে এসব সেন্টার। অভিযোগ রয়েছে অনেক এমপিওভূক্ত / সরকারী বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিভিন্ন প্রাইভেট স্কুল, কোচিং সেন্টারের সাথে জড়িত।
তারা নিয়ম অনুযায়ী সময়মত প্রতিষ্ঠানে যান না। প্রতিষ্ঠান প্রধানকে ম্যানেজ করে ক্লাশ ফাকি দিয়ে কোর্চিং কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক
অভিভাবক বলেন স্কুল/মাদ্রাসার অনেক শিক্ষক রয়েছেন যারা বছরে একদিনও ১০টা থেকে ৪টা পর্যন্ত চাকরি করেন না। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ বিষয়ে  অভিমত প্রকাশ করা হয় যে, বিভিন্ন বিদ্যালয়/ মাদ্রাসার শিক্ষক/ কর্মচারী ও শিক্ষার্থী নাইট কোচিং এ জড়িত।এসব কোচিং সেন্টারের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন রকম অসামাজিক কার্য়কলাপ, সাইবার ক্রাইম, ফ্রি ফায়ার গেইম, ইভটিজিং ও মোবাইল জুয়ার মতো অপরাধে জড়িত হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা।
তাই সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক উপজেলায়  কোন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা বা কোচিং সেন্টার রাতে চলতে পারবে না।কোন শিক্ষক/কর্মচারী বা শিক্ষার্থী এসব কোচিং এর সাথে জড়িত হতে পারবে না। এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন মর্মে মিটিং এ সিদ্ধান্ত হয়।
এর আলোকে উপজেলা শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে  উপজেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার প্রধানদের আলাদা আলাদা চিঠি দিয়ে অবহিত করেন এবং কোন শিক্ষক/কর্মচারী বা শিক্ষার্থী যেন নাইট কোচিং এ না জড়ায় , সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন।
কিন্তু এর পরেও থেমে নেই কোচিং বাণিজ্য।
শেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. ওবাইদুল্লাহ বলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক আইনগতভাবেই কোচিং সেন্টারের সাথে জড়িত হতে পারবে না। খোজখবর নিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা  নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ সাংবাদিকদের বলেন নাইট কোচিং বন্ধে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল। নতুন করে কেউ নাইট কোচিং চালালে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।