শেরপুরে ৮ বছরেও চুক্তিনামা দলিল পাননি সামাজিক বনের  অংশিদাররা    – Newsroom bd24.
ঢাকামঙ্গলবার , ২৫ অক্টোবর ২০২২

শেরপুরে ৮ বছরেও চুক্তিনামা দলিল পাননি সামাজিক বনের  অংশিদাররা   

আরএম সেলিম শাহী, শেরপুর প্রতিনিধি।
অক্টোবর ২৫, ২০২২ ৫:২১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

শেরপুরের ৩ উপজেলায় ৮ বছরেও চুক্তিনামা দলিল পায়নি সামাজিক বনের অংশিদাররা। ফলে দলিল না পেয়ে হতাশা আর অনিশ্চয়তায় ভোগছেন শতশত অংশিদার। জানা গেছে, তারা নিজস্ব অর্থ ও শ্রম দিয়ে  বন সৃজন করেছেন।
তাদের চুক্তিনামা দলিল হাতে না পেয়ে তারা এখন দিশেহারা। শেরপুর সীমান্তে শ্রীবরদী উপজেলার বালিজুরি ঝিনাইগাতী উপজেলার রাংটিয়া ও নালিতাবাড়ী উপজেলার মধুটিলা রেঞ্জের আওতায় প্রায় ৩ হাজার অংশিদার রয়েছে বলে বনবিভাগ সুত্র জানা গেছে। ১৯৯২সালে বনবিভাগের জমিতে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি হাতে নেয় সরকার। বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় গড়ে তোলা হয় সামাজিক বনায়ন। পাহাড়ি এলাকার হতদরিদ্র আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে তাদের করা হয় সামাজিক বনের  অংশিদার। এক হেক্টর বনের জমিতে সামাজিক বন সৃজন করে ১০ বছর মেয়াদে চুক্তিনামা করা হয়  প্রতিজন অংশিদারের সাথে। ১০ বছর পর বনের গাছ নিলামে বিক্রি করে ৫০% সরকার ৪০% অংশিদার ও ১০% পুনরায় বন সৃজনের জন্য টিএফ ফান্ডে রাখা হয়। কিন্তু টিএফ ফান্ডের ওই টাকা দ্বিতীয় দফায় বন সৃজনের সময় আর ব্যবহার করা করা হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। টিএফ কমিটির সভাপতি /সম্পাদকের যোগসাজশে করা হয় লুটপাট। অভিযোগ রয়েছে,  অংশিদারদের টাকায় সৃজন করা হয় বন। এভাবেই চলে  সামাজিক বনের  কর্মকান্ড। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দফায় এসে জমির পরিমাণ কমিয়ে অংশীদারের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
প্রতিজনের নামে দেয়া হয়েছে এক একর করে জমি। বন সৃজনের পর উপজেলা পরিবেশ ও বন উন্নয়ন কমিটির সভায় তা অনুমোদনের পর অংশিদারদের চুক্তিনামা দলিল দেয়া হতো। কিন্তু গত ৮ বছরেও দলিল দেয়া হয়নি। সামাজিক বনের বাকাকুড়া গ্রামের অংশিদার মুসা সরদার, নাওকুঁচি গ্রামের গোলাপ হোসেন, আবুল কাশেম, নিলুরঞ্জন হাজং, গান্দিগাও গ্রামের এনামূল কবির মানিকসহ আরো অনেকেই জানান, ২০১২ সালে তারা সামাজিক বনের অংশিদার হন। তারা অর্থ ব্যয় করে ও শ্রম দিয়ে বন সৃজন করেছে। কিন্তু আজো তারা চুক্তিনামা দলিল পায়নি। পাবেন কি না এবিষয়ে ও অনিশ্চয়তায় ভোগছেন তারা।
তাদের মতে ৩ হাজার অংশিদারের একই অবস্থা। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক বন কর্মকর্তা জানান, উপজেলা বন উন্নয়ন কমিটির সভায় অনুমোদনের জন্য নামের তালিকা পাঠানো হলে দলীয়ভাবে তালিকা নিয়ে টানাহেচড়া শুরু হয়।  একারনে পাঠানো হয়নি। এ উপজেলায় অংশিদারের সংখ্যা কতজন জানতে চাওয়া হলে রাংটিয়া রেঞ্জের  শরিফুল ইসলাম বলেন সমস্যাটি দীর্ঘদিনের তাই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
শেরপুরের সহকারী বন সংরক্ষক আবু ইউসুব বলেন, সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া জন্য নির্দেশনা দেয়া হযেছে। অংশিদাররা চুক্তি নামা দলিল না পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন দলিল যাতে পান এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

   
%d bloggers like this: