বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য ও চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান সউদ এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল, দৈনিক মুক্তির লড়াই পত্রিকার সম্পাদক কামরুজ্জামান জনি, কবি সংসদ বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম কনক, সংগঠনের সদস্য এডভোকেট হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।
অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা মানবতার ধারক—বাহক। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতীক। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়ন—অগ্রগতিতে বর্তমানে বিশ্বের রোল মডেল। তিনি অসাম্প্রদায়িক মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে আসছেন।
সভাপতির বক্তব্যে লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার সততা, দক্ষতা, দেশপ্রেম ও দক্ষ নেতৃত্বের ফলে বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা উন্নত আধুনিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে আসছেন। তিনি মূলত বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজগুলো দক্ষতা ও বিচক্ষণতার সাথে করে যাচ্ছেন। আজ বাংলাদেশের উন্নয়ন—অগ্রগতি জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত। জাতিসংঘের ৭৭তম সাধারণ অধিবেশনে উন্নয়ন—অগ্রযাত্রায় সফলতার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বের সেরা সফল রাষ্ট্রনায়কের সম্মাননা প্রদান করা হয়। যা আমাদের জন্য গৌরব ও মর্যাদার বিষয়। তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনার মানবিক গুণাবলি অর্জনে সকলকে সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানান।
ইসমত কাদির গামা বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে কাজ করছেন। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি তাঁকে বারবার হত্যাচেষ্টা করছে। কিন্তু মহান সৃষ্টিকর্তা তাঁকে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ করার জন্যই বাঁচিয়ে রেখেছেন। তাঁর শরীরে মূলত বঙ্গবন্ধুর রক্তকণিকা প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে বঙ্গবন্ধুর ভাবনাগুলোকে তিনি বাস্তবায়ন করছেন। অনুষ্ঠানে জাকিয়া সুলতানা রচিত ‘মেঘাছন্ন আকাশ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। উল্লেখ্য, এই বইটি বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি লায়ন মো: গনি মিয়া বাবুলকে উৎসর্গ করা হয়েছে।
আলোচনা শেষে জননেত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সর্বোচ্চ সফলতা এবং দেশ—জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি লায়ন গনি মিয়া বাবুল। এরপর অনুষ্ঠানের সভাপতি অতিথিদেরকে সাথে নিয়ে জন্মদিনের কেক কাটেন।