মতলব দক্ষিণে আকস্মিকভাবে বেড়ে চলছে চোখ ওঠা রোগীর সংখ্যা – Newsroom bd24.
ঢাকাবুধবার , ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

মতলব দক্ষিণে আকস্মিকভাবে বেড়ে চলছে চোখ ওঠা রোগীর সংখ্যা

চয়ন ঘোষ, (চাঁদপুর প্রতিনিধি)
সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২ ১১:১২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় আকস্মিকভাবে বাড়ছে চোখ ওঠা রোগীর সংখ্যা। এ নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চক্ষু বিভাগেও বাড়ছে রোগীদের আনাগোনা। এ রোগে আক্রান্ত হওয়া অনেক বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও বিভিন্ন পেশাজীবীদ মানুষকে অবাধে চলাচল করতে দেখা গেছে।

মতলব গঞ্জ জে.বি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিক নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডট বিডি নিউজকে বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে বেশকিছু শিক্ষার্থীকে এ রোগে আক্রান্ত হতে দেখেছি। তাদের আমরা ছুটি দিয়েছি। পাশপাশি শিক্ষার্থীদের সংশ্পর্শে এসে শিক্ষকবৃন্দ অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন।
সবাই এখন কালো চশমা পরিধান করে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

এছাড়াও উপজেলাস্থ মতলব গঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কচি কাঁচা প্রি ক্যাডেট স্কুল, ১১১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ বেশ কয়েকটি কিন্ডার গার্টেন একাডেমীতে অনেক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দ এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, গরমে আর বর্ষায় চোখ ওঠার প্রকোপ বাড়ে। একে বলা হয় কনজাংটিভাইটিস বা চোখের আবরণ কনজাংটিভার প্রদাহ। সমস্যাটি চোখ ওঠা নামেই পরিচিত। রোগটি ছোঁয়াচে। ফলে দ্রুত অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। কনজাংটিভাইটিসের লক্ষণ হলো চোখের নিচের অংশ লাল হয়ে যাওয়া, চোখে ব্যথা, খচখচ করা বা অস্বস্তি। প্রথমে এক চোখ আক্রান্ত হয়, তারপর অন্য চোখে ছড়িয়ে পড়ে। এ রোগে চোখ থেকে পানি পড়তে থাকে। চোখের নিচের অংশ ফুলে ও লাল হয়ে যায়। চোখ জ্বলে ও চুলকাতে থাকে। আলোয় চোখে আরও অস্বস্তি হয়।
কনজাংটিভাইটিস রোগটি আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে ছড়ায়। রোগীর ব্যবহার্য রুমাল, তোয়ালে, বালিশ অন্যরা ব্যবহার করলে এতে আক্রান্ত হয়। এ ছাড়া কনজাংটিভাইটিসের জন্য দায়ী ভাইরাস বাতাসের মাধ্যমেও ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তির আশপাশে যারা থাকে, তারাও এ রোগে আক্রান্ত হয়।

মতলব পৌরসভাস্থ ৩নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা মোহাম্মদ আল-আমিন প্রধান নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডট বিডি নিউজকে বলেন, কাল হঠাৎ আমি চোখ উঠা রোগে আক্রান্ত হই। এমুহুর্তে চোখ চুলকায় ও মাঝে মাঝে খুব ব্যাথা অনুভব করছি। পাশাপশি কালো চশমা পরে সময় কাটাতে হচ্ছে।
আমার পরিবারের আরও চারজন সদস্য একই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

মতলব বাজারের ফার্মেসী ব্যবসায়ী মানিক চন্দ্র দাস বলেন, গত ৮-১০ দিনে চোখের ড্রপ ও অ্যান্টিহিস্টামিন ট্যাবলেট কিনতে আসা রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। ওষুধ সেবন করে অনেকেই দুই তিন দিনের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন আবার কেউ ৫-৭ দিন। তবে চোখ উঠা রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা রোগটি ছোঁয়াচে জেনেও তারা তাদের প্রাত্যহিক কাজ করে যাচ্ছেন। মেলামেশা করছেন সবার সঙ্গেই। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া চোখের ড্রপ ব্যবহার করা অনুচিত হলেও তা মানছেন না কেউ ৷ আমরাও প্রেসক্রিপশন ছাড়া যাকে তাকে মুখস্থ ঔষধ দিচ্ছিনা।

স্বাস্থ্য সচেতনদের মতে, চোখ ওঠা একটি ছোঁয়াচে রোগ। পরিবারের একজনের থেকে অন্যজনের হতে পারে। সুতরাং এসব ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধের জন্য পরিবারের সবাই কাপড়, তোয়ালে ও অন্যান্য জিনিস আলাদা ব্যবহার করতে হবে। আক্রান্তরা উদ্বিগ্ন না হয়ে চক্ষু চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে পাশাপাশি বাসায় আইসোলেশনে থাকতে হবে।