টাঙ্গাইলের মধুপুরে ভিডিওর ভয় দেখিয়ে পাঁচ বছর ধরে গারো তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে আ.লীগ নেতা মামুন নকরেককে গ্রেপ্তার করেছে মধুপুর থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগষ্ট) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদিকে ধর্ষনের শিকার তরুণীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত মামুন গায়রা গ্রামের কান্দু ডমেনিক চিসিমের ছেলে এবং উপজেলার অরনখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার জানান, মধুপুরের গায়রা গ্রামের বাসিন্দা মামুন নকরেকের সাথে একই গ্রামের শিক্ষার্থীর সাথে পাঁচ বছর আগে সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। মামুন নকরেক তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। মেয়েটির অজান্তে ভিডিও দৃশ্য ধারণ করে মামুন। এরপর ভিডিও প্রকাশ করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পাঁচ বছর ধরে ধর্ষণ করে আসছে মামুন। বিষয়টি প্রকাশ করলে ওই তরুণীকে হত্যা ও ভিডিও প্রকাশ করার হুমকি দেয় সে। সম্প্রতি ওই তরুণীর শরীরের গঠন দেখে তার পরিবারের সন্দেহ হয়। পরে বিষয়টি তরুণী তার মাকে জানায়। পরে পরীক্ষা করে ওই তরুণী অন্তঃস্বত্তা বলে জানা যায়। পরে এই ঘটনায় মেয়ের মা বাদি হয়ে ২৪ আগষ্ট বিকেলে মধুপুর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী তরুণীর মা বলেন, অনেক কষ্টে করে মেয়েকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করার চেষ্টা করছি। বর্তমানে আমার মেয়ে অনার্স দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী। তার শরীরের গঠনে পরিবর্তন দেখে মেয়েকে নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করলে সে মুখ খোলে। বর্তমানে সে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়ভাবে অনেকেই মীমাংসার চেষ্টা করেছে। এরপরও আইনের দ্বারস্থ হন তিনি।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই শফিকুল ইসলাম বলেন, যুবতী ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত মামুন নকরেককে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। যুবতীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মামুন ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।