কুড়িগ্রামে সবকটি নদনদীর পানি কমে দ্বিতীয় দফা বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড শনিবার সকালে জানায়, ধরলা নদীর পানি গতকাল দুপুর পর্যন্ত বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও শুক্রবার রাত থেকে তা নিচ দিয়ে বইছে।
ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদনদীর পানিও কমতে শুরু করেছে। ফলে জেলার নতুন করে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হচ্ছে। কিন্তু এ অবস্থায় দ্বিতীয় দফা বন্যায় জেলা সদর, নাগেশ্বরী, ফুলবাড়ী ও উলিপুর উপজেলার চর ও দ্বীপচরের নিম্নাঞ্চলসমূহ প্লাবিত থাকায় পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। নতুন করে পানিবন্দি ৪০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ এখন রয়েছে। বন্যা দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও গবাদি পশুর খাদ্য সংকট। অনেক এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ঘর বাড়ি পানির নিচে রয়েছে। ফলে সেখানকার মানুষের কষ্ট রয়েছে। বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা দেয়া হলেও এখনও কিছু কিছু এলাকায় ত্রাণ পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
তবে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে। ইতোপূর্বে ত্রাণ সহায়তা অনেক দেয়া হয়েছে, আরো যেখানে প্রয়োজন দেয়া হবে কোন সংকট হবে না।
অপরদিকে, নদনদীর পানি কমতে থাকায় শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের সারডোব এলাকায় ও উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি স্থানে নদী ভাঙনে অর্ধশতাধিক ঘর বাড়ি বিলীন হয়েছে। এছাড়াও কয়েকটি পয়েন্টে নদী ভাঙন চলছে বলে জানায় স্থানীয় পাউবো।