বেঞ্চে বসতে হয় ঠাসাঠাসি করে। কেউ বসেছে শ্রেণিকক্ষের মেঝেতে, কারোর অবস্থান স্কুলের স্টোররুমে। হয় না অ্যাসেম্বলি, নেই শহীদ মিনারও। খাবার পানিতেও দুর্গন্ধ। এই চিত্র খুলনার বটিয়াঘাটার মুহাম্মাদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে, স্বল্প জমিতে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে ওঠায় এই সমস্যা দেখা দিয়েছে।
টিনের ছাউনির নিচে শ্রেণিকক্ষ, নেই আলো-বাতাসের ব্যবস্থা। তাই প্রায়ই অসুস্থ হয় শিক্ষার্থীরা। বটিয়াঘাটা উপজেলার মুহাম্মাদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই পরিবেশ নিত্যদিনের।
এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাত বর্গকিলোমিটারের মধ্যে কোনো সরকারি স্কুল না থাকায় প্রতিষ্ঠানটির ওপর প্রতিবছর চাপ বাড়ছে। জমি অধিগ্রহণের জটিলতায় সম্প্রসারণ করা যাচ্ছে না স্কুলটি। বিষয়টি শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা জানলেও চিঠি চালাচালির মধ্যে আটকে আছে সমাধান। এ নিয়ে স্কুলটির প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান ময়না জানান, প্রতিটি ক্লাস এখন চারটি সেকশনে বিভক্ত। যদি এগুলো ৬টি সেকশনে বিভক্ত করা যায় এবং পর্যাপ্ত বেঞ্চ পাওয়া যায় তাহলে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত আর ২০১৩ সালে সরকারিকরণ হওয়া প্রাইমারি স্কুলে দুই শিফটে ভর্তি আছে ১ হাজার ৩৬০ শিক্ষার্থী। তবে শিক্ষা নিতে এসে তাদের যেনো দুর্ভোগের শেষ নেই।