মোংলায় কোরআন খতমের মাধ্যমে বিয়ে অনুষ্ঠিত – Newsroom bd24.
ঢাকারবিবার , ১৯ ডিসেম্বর ২০২১

মোংলায় কোরআন খতমের মাধ্যমে বিয়ে অনুষ্ঠিত

আলী আজীম,মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি।
ডিসেম্বর ১৯, ২০২১ ২:২৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

 

মোংলাঃ গান-বাজনা বাজিয়ে, ঢাক-ঢোল পিটিয়ে জাঁকজমকপূর্ণ বিয়ে- এটা আমাদের সমাজের খুবই সাধারণ চিত্র। কিন্তু মুসলিম বর-কনে হিসেবে একটা বিয়ের অনুষ্ঠান কেমন হবে- এটা নিয়ে আমরা ভাবি না। তবে এবার চিরাচরিত ওই নিয়ম ভেঙে গান-বাজনার বদলে বিবাহের অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন খতমের আয়োজন করে নজির বিহীন দৃষ্টি স্থাপন করে প্রশংসায় ভাসছেন মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের বাসিন্দা আবু সাইদ শেখ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ার পরে সবাই ব্যতিক্রমী এ আয়োজনের জন্য তাকে শুভ কামনা জানিয়েছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) সাদিয়া আক্তার এর বিয়ের দিন গান বাজনার বদলে কোরআন খতমের আয়োজন করেন তার বাবা। সাদিয়া আক্তার মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের জয়মনি গ্রামের ৯নং ওয়ার্ডের আবু সাইদ শেখের বড় মেয়ে।

রবিবার তার বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়। এদিনই নিজ বাড়িতেই স্থানীয় এতিম হাফেজ সাহেবরা প্রায় তিন ঘণ্টা পবিত্র কোরআনে কারিম তিলাওয়াত করেন।

জয়মনি হাফিজিয়া মাদ্রাসার হুজুর নুরে আলম বলেন, বিয়ে একটি সর্বজন স্বীকৃত সবচেয়ে পবিত্র এবং সামাজিক বন্ধন। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক তরুণ এবং একজন প্রাপ্ত বয়স্ক তরুণী সমাজের এবং ধর্মীয় রীতিনীতি সমাজের এবং পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিয়ে নামক পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হয়। প্রায় প্রত্যেক ধর্মে বিয়ের সম্পর্কে বাণী দেওয়া হয়েছে। বিয়ে হলো সমাজ স্বীকৃত বংশবৃদ্ধি করার একটি প্রক্রিয়া। ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম সবসময় শান্তি এবং সমৃদ্ধির জীবনব্যবস্থা।ইসলাম এমন একটি জীবনব্যবস্থা যেখানে প্রাপ্ত বয়স্ক হলেই ছেলেমেয়ের বিয়ে দেওয়ার কথা স্পষ্ট করে বলছেন।বিয়ের মাধ্যমে দুইজন ব্যক্তি সংসার শুরু হয়। তাই ইসলামে বিভিন্ন আয়াত নাজিল হয়েছে বিয়ে নিয়ে।

ব্যতিক্রমী এ আয়োজনের ব্যাপারে পিতা আবু সাইদ বলেন, মুসলিম হলেও আমাদের বিয়ে ইসলাম মেনে হয় না। অপসংস্কৃতি রোধে ও আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে আমি এই আয়োজন করেছি। আমি বিশ্বাস করি, বিয়েতে যদি ইসলামি রীতি-নীতি পরিপালিত হয় তাহলে ভবিষ্যত দাম্পত্য জীবনও সুখের হবে। আমি সবার কাছে দোয়া চাই। এবং সবাইকে ইসলামি আদর্শ মেনে বিয়ে করার আহবান জানাই।
এতে এলাকার মানুষেরা অপসংস্কৃতি বাদ দিয়ে ইসলামি সংস্কৃতি ফিরে আসবে বলেও মনে করেন তিনি।

 

নিউজরুম বিডি২৪।