ঢাকাঃ এখন থেকে পণ্য বেচাকেনার সময় পণ্যের মূল্যের সাথে ভ্যাটের টাকা অন্তর্ভুক্ত করে দাম লিখতে হবে। পণ্য ক্রয়বিক্রয় এর ক্ষোত্রে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট আদায়ে নতুন নিয়ম করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড– এনবিআর।
এর আগে পণ্যমূল্য এবং মূল্য সংযোজন কর আলাদা আলাদা ভাবে থাকতো।এখন পণ্যের দাম লেখার পর মূল্য পরিশোধের সময় ভ্যাটের অর্থ কেটে রাখা যাবে না।এনবিআর ভ্যাট বিভাগ সোমবার এ বিষয়ে এক আদেশ জারি করেছে।
সর্বসাধারণের কাছে বিষয়টি পরিষ্কার করতে একটি উদাহরণ দেয় এনবিআর। কোনো হোটেল বা রেস্তোরাঁয় খেতে গেলে খাওয়ার পর বিলের সঙ্গে ‘প্লাস’ শব্দটি যুক্ত করে ভ্যাটের টাকার পরিমাণ খেরা হতো। বিল যদি ১০০ টাকা হয় তবে তার সঙ্গে ভ্যাট হিসেবে ১০ টাকা আসলে মোট পরিশোধ করতে হতো ১১০ টাকা।
আর নতুন এই নিয়মে, খাবারের মেন্যু দেয়ার সময়ই ভ্যাটসহ দাম উল্লেখ করতে হবে তাতে। যাতে গ্রাহক প্রথমেই বুঝতে পারেন, তাকে কত টাকা পরিশোধ করতে হবে। এমনটা হবে সব ক্ষেত্রেই।
নিউজরুম বিডি২৪ কে এনবিআরের এক কর্মকর্তা বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ভ্যাট যোগ করেই পণ্যের মূল্য নির্ধারিত হয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, বিক্রেতা এ নিয়ম মানে না।
ফলে একদিকে যেমন ভ্যাট আইনের ব্যত্যয় ঘটে। অন্যদিকে সরকার প্রাপ্য রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হয়। কেউ নতুন নিময়টি না মানলে ভ্যাট আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই আদেশে বলা হয়, রশিদে পণ্য বা সেবার বিবরণ, পরিমাণ এবং ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক থাকলে তা যুক্ত করে দাম বাংলাদেশি মুদ্রায় লিখে দেখাতে হবে।
বর্তমানে সাধারণ ক্রেতারা অনলাইনেও পণ্য কেনেন।অনলাইনে পণ্য কিনলে ৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। খাবারের মধ্যে এসি রেস্তোরাঁ বা ফাস্ট ফুডে খাবারের ওপর ১০ শতাংশ এবং নন-এসি রেস্তোরাঁয় সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা আছে।নামীদামি শোরুম থেকে পোশাক কিনলে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে।