” বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস “আজ রবিবার (১০ অক্টোবর)। এ বছরের প্রতিপাদ্য “অসম বিশ্বে মানসিক স্বাস্থ্য”। গোটা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালন করা হচ্ছে।মানসিক রোগ সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯৯২ সাল থেকে প্রতিবছর আজ ১০ অক্টোবর দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে মানসিক স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।তিনি আরও বলেন মানসিক স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন ছাড়া সামগ্রিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার পূর্ণাঙ্গ উন্নয়ন কল্পনা করা যায় না। তাই মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দেয়া এখন সময়ের দাবি।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, বর্তমানে করোনা মহামারির এই বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে জনসাধারণের মানসিক স্বাস্থ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আক্রান্ত ব্যক্তি ছাড়াও পরিবারের সদস্য, সমাজের নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের মানসিক স্বাস্থ্য হুমকির সম্মুখীন। এই পরিস্থিতিতে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার পরিধি আরো বৃদ্ধির গুরুত্ব দেন তিনি।এছাড়াও সুখী, সমৃদ্ধ, বৈষম্যহীন মানবিক বিশ্ব গঠনে শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও নজর দেয়া প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন।
মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কিছু পর্যালোচনায় বর্তমান বিশ্বের মানসিক স্বাস্থ্যের খানিক চিত্র উঠে এসেছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, প্রতি ৪০ সেকেন্ডের মধ্যে সারাবিশ্বে কেউনা কেউ আত্মহত্যার মাধ্যমে প্রাণ হারান। আত্মহত্যাজনিত মৃত্যুর অধিকাংশই প্রতিরোধযোগ্য। অধিকাংশ ব্যক্তিই আত্মহত্যার সময় কোন না কোন মানসিক রোগে আক্রান্ত থাকেন। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনিস্টিটিউট, ঢাকা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণায় দেখা গেছে, আমাদের দেশে প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর শতকরা ১৬ ভাগ ও শিশু কিশোরদের শতকরা ১৮ ভাগ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে।
এছাড়াও বৈশ্বিক করোনা মহামারীর ফলে মানসিক স্বাস্থ্যের উপর আঘাত সবচেয়ে ভয়াবহ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, যুক্তরাজ্যে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণকারীদের ৩২ শতাংশ জানিয়েছেন, মহামারির কারণে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি বিপর্যস্ত হয়েছে। ইতালি ও স্পেনে শিশু-কিশোরদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়েছে। কানাডায় ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সীদের মধ্যে ২০ শতাংশ হারে বেড়েছে মদ্যপান। মহামারির আগের তুলনায় এপ্রিলে ইথিওপিয়ার মানুষের মধ্যে বিষণ্ণতা তিন গুণ বেড়েছে।