ওসি প্রদীপের জামিন নামঞ্জুর – Newsroom bd24.
ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৭ অক্টোবর ২০২১

ওসি প্রদীপের জামিন নামঞ্জুর

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি।
অক্টোবর ৭, ২০২১ ৫:১৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

চট্টগ্রাম : দুদকের মামলায় কক্সবাজারের টেকনাফ মডেল থানার বরখাস্ত ভারপ্রাপ্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার আরেক পলাতক আসামি ও প্রদীপের স্ত্রী চুমকি কারণকে হাজির হওয়ার জন্য গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।

দুদক চট্টগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদুল হক মাহমুদ, নিউজরুমবিডি২৪ কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুর্নীতির মামলায় গত ২৬ জুলাই প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। ১ সেপ্টেম্বর আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। আজ (বৃহস্পতিবার) আসামি প্রদীপের উপস্থিতিতে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী। শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার অপর আসামি প্রদীপের স্ত্রী চুমকি কারণকে হাজির হওয়ার জন্য গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দিয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৩ আগস্ট ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে প্রায় চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে মামলা করেন দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬ (২) ধারা, ২৭ (১) ধারা, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪ (২) ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারাসহ দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলাটি হয়।

দুদকের অনুসন্ধানে জানা যায়, চুমকির ৪ কোটি ৮০ লাখ ৬৪ হাজার ৬৫১ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিপরীতে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ২ কোটি ৪৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৩৪ টাকার। বাকি সম্পদ অর্থাৎ ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জনের প্রমাণ পেয়েছে দুদক।চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটায় ছয়তলা বাড়ি, ষোলশহরে বাড়ি, ৪৫ ভরি স্বর্ণ, একটি কার ও ১টি মাইক্রোবাস, কক্সবাজারের একটি ফ্ল্যাট ও ব্যাংক হিসাবের মালিক প্রদীপের স্ত্রী চুমকি। প্রদীপের ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থে স্ত্রী চুমকি এসব সম্পদ অর্জন করেন বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তে উঠে এসেছে। এছাড়া চুমকি নিজেকে মাছ ব্যবসায়ী দাবি করলেও তার কোনো অস্তিত্ব পায়নি দুদক।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৩১ জুলাই রাত ১০টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় নিহতের বোন শাহরিয়ার শারমিন ফেরদৌস বাদী হয়ে একই বছরের ৫ আগস্ট টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। এ ঘটনায় গত বছরের ৬ আগস্ট থেকে কারাগারে আছেন ওসি প্রদীপ।

   
%d bloggers like this: