ঢাকা: রাজধানীর পল্লবীতে তিন কলেজছাত্রী নিখোঁজের ঘটনার মামলায় ৩ নম্বর আসামি জিনিয়া ওরফে টিকটক জিনিয়া (১৮)।তদন্তে এই টিকটকার তরুণীর বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
মাদক সেবন, বেপরোয়া জীবন, বিলাসিতা আর একাধিক প্রেমের সম্পর্কের কারণে অন্ধকার জগতে পা বাড়িয়েছেন এই টিকটক তারকা। টিকটকের ভিডিও করতে মিরপুর, পল্লবী, বেড়িবাঁধ, দিয়াবাড়ীসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত যাতায়াত ছিল জিনিয়ার। তিন কলেজছাত্রী নিখোঁজের ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে ইয়াবা সেবন ও একাধিক প্রেমের কথা জিনিয়া স্বীকার করেছেন বলে জানা যায়।
স্হানীয়দের মতে,জিনিয়ার পরিবার আগে বস্তিতে ভাড়া থাকতো। এখন মিরপুর ১১ নম্বর এভিনিউ ফাইভের ১৫ নম্বর লাইনের একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন। কিছুদিন আগে তার বাবা মারা যান। তিনি কবিরাজি করতেন।স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, কবিরাজ বাবা মারা যাওয়ার পর বেপরোয়া জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে টিকটক তারকা জিনিয়া। তার পরিবারে উপার্জনক্ষম কোনো ব্যক্তি নেই। বড় ভাই থাকলেও সে বেকার। জিনিয়া পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সবার ছোট। এলাকায় সবাই জানে ও টিকটক করে আর বিদেশে লোক পাঠায়। আবার মানুষকে বিভিন্ন জায়গায় চাকরির ব্যবস্থা করে দেয়। ওর বড়বোনকেও কবিরাজি শিখিয়েছে ওর বাবা। ওই বোনের ইনকামে তাদের পরিবার চলে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেকে বনফুল আদর্শ গ্রিন হার্ট কলেজের শিক্ষার্থী পরিচয় দিয়ে জিনিয়া তার ফেসবুক প্রোফাইলে নিজের নাম লিখেছেন, জিনিয়া জামান রোজি ওরফে বুলেট। গত বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় পরিবারের কাউকে কিছু না বলে তিন কলেজছাত্রী নিজ নিজ বাসা থেকে বের হয়। বের হওয়ার সময় সবাই বাসা থেকে কয়েক লাখ টাকা, গহনা, স্কুল সার্টিফিকেট ও দামি মোবাইল নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ওই তিন ছাত্রীর একজনের মা শুক্রবার (০১ অক্টোবর) পল্লবী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর শনিবার রাতে ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন নিখোঁজ শিক্ষার্থী কাজী দিলখুশ জান্নাত নিসার বোন অ্যাডভোকেট কাজী রওশন দিল আফরোজ। মামলায় ৪/৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন—মো. তরিকুল্লাহ (১৯), মো. রকিবুল্লাহ (২০), জিনিয়া ওরফে টিকটক জিনিয়া (১৮), শরফুদ্দিন আহম্মেদ আয়ন (১৮)।