ঢাকা: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির পেছনে কোনো বিদেশি সংস্থা জড়িত আছে কি না তা তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শারদীয় দুর্গোৎসবের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কারা এ অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার প্রয়াস পাচ্ছে এবং কোনো বিদেশি সংস্থা এর সঙ্গে জড়িত আছে কি না, সবই আমরা তদন্ত করছি।এখনো কিছু বলতে পারছি না। তদন্তের পরই আপনাদেরকে জানানো হবে।
ক্যাম্পে মুহিবুল্লাহ হত্যা বিচ্ছিন্ন ঘটনা কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটিকে বিচ্ছিন্ন বলুন, কিংবা উদ্দেশ্যমূলক বলুন, যাই হোক, আমরা তা বের করব।
খুন হওয়া আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সোচ্চার ছিলেন বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, এই হত্যার সাথে যারা জড়িত তারা খুব শীঘ্রই আইনের আওতায় থাকবে। আমাদের তদন্ত, সবকিছুই খুব দ্রুত চলছে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিজ সংগঠনের কার্যালয়ে অবস্থানকালে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ। এ ঘটনায় পরদিন রাতে উখিয়া থানায় নিহত মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিব উল্লাহ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
এরপর,১ অক্টোবর দুপুরে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-৬ থেকে মুহিবুল্লাহ হত্যায় জড়িত সন্দেহে মোহম্মদ সেলিম (৩৩) (প্রকাশ লম্বা সেলিম) নামে একজনকে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা গ্রেফতার করে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করে।২ অক্টোবর ভোর রাতে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে জিয়াউর রহমান ও আব্দুস সালাম নামের আরও দুইজনকে গ্রেফতার করে ১৪ এপিবিএন।৩ অক্টোবর দুপুরে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে-৫ এ অভিযান চালিয়ে মো. ইলিয়াস (৩৫) নামে আরও একজনকে আটক করা হয়।
এদিকে,রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যায় নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ সহ আন্তর্জাতিক মহল। নিহত রোহিঙ্গা নেতা বেশকিছুদিন ধরেই নিজভূমি মায়ানমারে ফিরে যেতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে কাজ করছিলেন।