রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে সেখানে এখনও অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ শুক্রবার (১ অক্টোবর) সকাল থেকে প্রশাসনিক ভবনে ভিসিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অবরুদ্ধ রয়েছেন। বাইরের ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। তবে শিক্ষিকার সাময়িক বহিষ্কারের ঘোষণা আসার পর অনশন ভেঙেছেন তারা।
আগামী রবিবার (০৩ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিবে বলে জানা গেছে। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের (রবি) তদন্ত কমিটির প্রধান ও রবীন্দ্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান লায়লা ফেরদৌস শুক্রবার (১ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র নাজমুল হাসান পাপন বলেন, শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে সাময়িক বহিষ্কারের ঘোষণার পর আমরা অনশন ভেঙেছি। তবে স্থায়ী বহিষ্কার না করা পর্যন্ত আমরা মাঠে রয়েছি।
বিশ্ববিদ্যালয়য়ের প্রোক্টর রওশন আলম বলেন, “শিক্ষার্থীরা বাস্তবতা না বুঝে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। চাইলেই কাউকে তাৎক্ষণিক চাকরীচ্যুত করা যায় না, এজন্য নিয়ম আছে। তদন্ত কমিটি কাজ করছে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।”তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ অথরিটি সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে। শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানাচ্ছি আমি।”
অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিনের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে আমরণ অনশন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। অবশেষে এ অচলাবস্থা নিরসনে বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে সিন্ডিকেট মিটিং শেষে ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে সাময়িক বরখাস্ত, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত এবং একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।