নাসির-তামিমার বিয়ে অবৈধ :পিবিআই – Newsroom bd24.
ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১

নাসির-তামিমার বিয়ে অবৈধ :পিবিআই

তাসকিয়া তাবাস্সুম ( ডেস্ক নিউজ)
সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১ ৩:৪০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঢাকা: বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পিবিআই সদরদপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে,পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন,

“তালাক হতে গেলে যে প্রক্রিয়া মানা দরকার তার কোনোটিই ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও এয়ারলাইন্স কোম্পানি সৌদিয়ার কেবিন ক্রু তামিমা সুলতানা তাম্মী মানেননি। সুতরাং এটি অবৈধ।”

উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি, তামিমার প্রথম স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। ওই দিনই বাদীর জবানবন্দি গ্রহন করে শুনানি শেষে আদালত মামলার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের আট বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তামিমা পেশায় একজন কেবিন ক্রু। চলতি বছরের (২০২১) ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্রপত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, রাকিবের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক থাকাবস্থায় নাসিরকে বিয়ে করেছেন তামিমা, যা ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। তামিমাকে প্রলুব্ধ করে নাসির তামিমাকে বিয়ে করেন।তামিমা ও নাসিরের এমন অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তার আট বছর বয়সী শিশুকন্যা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছেন। আসামিদের এ ধরনের কার্যকলাপে রাকিবের চরম মানহানি হয়েছে, যা তার জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

পিবিআই প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, এক সময় তামিমা রাকিব হাসানের স্ত্রী ছিলেন। কিন্তু নাসির তামিমাকে আবারও বিয়ে করেছেন সুতরাং আগের বিয়ের ডিভোর্স হয়েছে কি না তা আইনগতভাবে যাচাই-বাছাই করার কথা।
তদন্তে দেখা যায় তালাক হতে গেলে যে তিনটি শর্ত লাগে :একটি, হলো সংশ্লিষ্ট কাজীকে উপস্থাপন করা, দ্বিতীয়ত, যিনি তালাকপ্রাপ্ত হবেন অথবা যাকে তালাক দেওয়া হবে তার বাসায় একটি নোটিশ পাঠানো এবং তৃতীয়ত, যিনি তালাকপ্রাপ্ত হবেন তারস্থায়ী ঠিকানার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের মাধ্যমে একটি নোটিশ পাঠাতে হবে।

প্রথমটি হলেও দ্বিতীয়তটিতে দাবি করা হয়েছে রাকিব হাসানের বাসায় চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু যে তারিখে চিঠিটি রাবিক হাসানের বাসায় পাঠানো হয় তিনি ঐ ঠিকানায় থাকতেন না।অর্থাৎ চিঠি প্রসেসের ছয় মাস আগে রাকিব অন্য বাসায় ছিলেন। যেই তারিখে চিঠিটি দেখানো হয়েছে সেই সময় ঠিকানাটি ভুল ছিল।

নাসির ও তামিমা ডাকযোগে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে যে চিঠিটি দেখিয়েছেন তা সঠিক দেখাননি। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বলেছেন তিনি এমন কোনো চিঠি পাননি বলেও জানান বনজ কুমার মজুমদার।

পিবিআই প্রধান আরও বলেন, তামিমা যে পাসপোর্ট ব্যবহার করেন তাতে তালাক দেখানো হয়েছে ২০১৬ সালে। কিন্তু ২০১৮ সালে পাসপোর্ট রিনিউয়ের সময় স্বামীর নাম রাকিব হাসান দেওয়া হয়। আমরা বলতে পারি বিয়ে চলমান অবস্থায় তালাক দেখানো হয়েছে।

আমাদের কাছে মনে হয়েছে তালাকনামাটি জালিয়াতির মাধ্যমে হয়েছে এবং এই জালিয়াতিতে তামিমার মা সুমি আক্তার সহযোগিতা করেছেন।

নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে পিবিআই এখন কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না জানতে চাইলে বনজ কুমার মজুমদার বলেন, এটি আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন।
এদিকে নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নাসির-তামিমাসহ তিনজনকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়েছে।

   
%d bloggers like this: