নারী শিক্ষায় অগ্রগতিতে এমপিদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ – Newsroom bd24.
ঢাকাশনিবার , ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

নারী শিক্ষায় অগ্রগতিতে এমপিদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ

তাসকিয়া তাবাস্সুম ( ডেস্ক নিউজ)
সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১ ৫:০১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঢাকা:  স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে নারী শিক্ষাকে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যগণের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

শনিবার গাজীপুরের কালিগঞ্জ উপজেলায় বাল্যবিয়ে ও জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ এবং প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

জাতীয় সংসদ সচিবালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এসপিসিপিডি প্রকল্পের আওতায় গঠিত বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ পার্লামেন্টারিয়ান্স অন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিএপিপিডি)‌‌ এ কর্মশালার আয়োজন করে। এর উদ্বোধন করেন স্পিকার।

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং বাল্যবিবাহ ও জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ক উপ-কমিটির আহ্বায়ক বেগম মেহের আফরোজ এমপির সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে. এম. আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে নজরুল ইসলাম বাবু, আরমা দত্ত, শিউলি আজাদ, শবনম জাহান ও ফখরুল ইমাম বক্তব্য রাখেন। প্রকল্প পরিচালক যুগ্মসচিব এম এ কামাল বিল্লাহ কর্মশালায় সূচনা বক্তব্য রাখেন।

সভায় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রসর হয়েছি। সম্প্রতি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তাকে ‘এসডিজি প্রগ্রেস অ্যাওয়ার্ড’-এ ভূষিত করা হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের জনবান্ধব ধারণাটি প্রধানমন্ত্রীর একান্ত ব্যক্তিগত চিন্তার ফসল। কারণ তিনি গ্রামে, চরে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষকে সেবা দেওয়ার বিষয়টি সর্বদা প্রাধান্য দেন।
তিনি আরও বলেন, সমগ্র বাংলাদেশে ১২ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক কাজ করছে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় ৩২ রকমের ওষুধ সেখানে বিনামূল্যে বিতরণের ব্যবস্থা রয়েছে। মা ও শিশুসেবা, পরিবার পরিকল্পনা সেবা, শিশুটিকা প্রদান কার্যক্রম কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো চালিয়ে যাচ্ছে।
স্পিকার বলেন, কোভিডকালে সমগ্র বিশ্বে নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েছে। নারী সহিংসতা, বাল্যবিয়ের মতো উদ্ভূত চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাতে হবে। কন্যাসন্তানদের অসচ্ছল পিতা-মাতাদের আস্থাহীনতার কারণে করোনাকালে বাল্যবিয়ে বেড়েছে। প্রকৃতপক্ষে কন্যাসন্তান তাদের জন্য বোঝা নয়। আইন প্রণয়নের পাশাপাশি অভিভাবকদের এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কন্যাসন্তানদের এগিয়ে নিতে সরকার ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছে। সম্প্রতি দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, জনপ্রতিনিধি, মসজিদের ইমাম সবার প্রচেষ্টায় সচেতনতা তৈরি করতে হবে।

 

   
%d bloggers like this: