আন্তর্জাতিক : কানাডার ৪৪তম সাধারণ নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এলেন লিবারেল পার্টির নেতা জাস্টিন ট্রুডো।বিরোধীদল কনজারভেটিভ পার্টির সঙ্গে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার লড়াইতে জয়ী হয়েছেন তিনি।ভোটে জয়কে এক বক্তব্যে জাস্টিন ট্রুডো ‘ক্লিয়ার ম্যান্ডেট’ বলে উল্লেখ করেছেন।
২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো সরকার গঠন করেন জাস্টিন ট্রুডো। জো ক্লার্কের পর কানাডার দ্বিতীয় কনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রেকর্ড গড়েন তিনি। কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুডোর ছেলে তিনি। তবে পিতার পরিচয়ছাড়াও তরুণ, সদাহাস্যজ্জ্বল,বিনয়ী এবং জনগণের প্রতি বন্ধুসুলভ আচরণের জন্য সাধারণ জনগনের নিকট অত্যন্ত জনপ্রিয় তিনি।
এছাড়াও করোনা মহামারীতে ট্রুডোর সরকার অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে।করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কানাডায় ৭৩ দশমিক চার শতাংশ মানুষকে দুই ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় উত্তর আমেরিকার এই দেশটি টিকাদানের ক্ষেত্রে একেবারে প্রথম সারিতে রয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, জনমত জরিপে লিবারেল পার্টি এগিয়ে থাকলেও বিরোধী নেতা এরিন ও’টুলের কনজারভেটিভ পার্টির সাথে লড়াই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে।
নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলের পাওয়া তথ্যে জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল পার্টি ১৫৬টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। যেখানে এককভাবে সরকার গঠনে যেকোনো দলকে কমপক্ষে ১৭০টি আসনে জয় পেতে হবে। অন্যদিকে, বিরোধী নেতা এরিন ও’টুলের রক্ষণশীল দল ১২১ এগিয়ে রয়েছে।
কানাডায় এবারের নির্বাচনে দেশটির পার্লামেন্টের হাউস অব কমন্সের ৩৩৮ আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২ হাজার ১০ জন প্রার্থী। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত দলের প্রার্থী ১ হাজার ৯১৯ জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ৯১ জন।
নির্বাচনটি ২০২৩ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও, এর আগেই মধ্যবর্তী নির্বাচনের ঘোষণা দেন ট্রুডো। মূলত চলমান করোনা মহামারির মধ্যেই ট্রুডো একটি গণভোট চাচ্ছেন।