ঢাকা: বহুল আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়রম্যান সাহেদ করিম ও অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে পদত্যাগ করা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
সূত্র জানায়, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ও স্বাস্থ্য বিভাগের সাবেক ডিজি ও অন্যদের বিরুদ্ধে জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা করে করোনা সনদ দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন করেছে কমিশন।
মামলায় আসামি না করা হলেও তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আলোচিত সাবেক মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দিচ্ছে দুদক।
শিগগিরই তা আদালতে পেশ করা হবে বলে জানা যায়। উক্ত মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম।
অনুমোদিত অভিযোগপত্রে ছয় বছর ধরে নবায়ন বন্ধ রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে কোভিড চিকিৎসায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করা চুক্তিকে অবৈধ বলা হয়েছে। এ অবৈধ চুক্তির ওপর ভর করেই করোনায় আক্রান্ত রোগীদের নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করে অবৈধ পারিতোষিক বাবদ ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ।
অভিযোগপত্রে সাবেক ডিজি আজাদ এবং রিজেন্টের সাহেদ ছাড়াও আসামি করা হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ডা. আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক শফিউর রহমান ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গবেষণা কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামকে।
উল্লেখ্য, এই শাহেদ করিম গং রা গত বছর করোনার শুরুর দিকে অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও করোনা টেস্ট করে মানুষকে ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। যার সাথে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশ পাওয়া গেছে বলে জানা যায়।