কংলাক পাহাড়ে একদিন – Newsroom bd24.
ঢাকারবিবার , ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

কংলাক পাহাড়ে একদিন

তাসকিয়া তাবাস্সুম ( ডেস্ক নিউজ)
সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১ ৯:৫৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে বার্ষিক পরীক্ষার পর আমি মা -বাবা,আমার ছোট ভাই, বোন এবং নানা – নানুর সাথে মেঘের রাজ্য সাজেক ভ্যালিতে বেড়াতে যাই।১৪ ই ডিসেম্বর রাতে আমরা বান্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা করি।সকালে চোখ খুলতেই দেখি আমরা পৌঁছে গেছি।সকালের নাস্তা শেষ করে আমরা বান্দরবন থেকে সাজেকের পথে” চান্দের গাড়ি” তে যাএা শুরু করি।

রাস্তায় আমরা আদিবাসী শিশুদের দেখতে পাই,ওরা আমাদের হাত নাড়িয়ে “টা টা ” দিচ্ছিলো।

সাজেক পৌঁছাতে আমাদের দুপুর হয়ে যায়।আমাদের রিসোর্টটা ছিলো বাঁশের তৈরি দোতলা বাড়ি। আমি এর আগে কখনো এরকম বাড়ি দেখিনি।বারান্দা থেকে সব কিছু এত সুন্দর দেখাচ্ছিল। ফ্রেশ হয়ে আমরা দুপুরের খাবার খেতে যাই।খাবারগুলো অনেক মজা ছিলো।এর মধ্য বাঁশের ভিতর মুরগি রান্না আর হলুদগাছের পাতার সালাদ আমার খুব মজা লেগেছে।

এরপর বিকালে আমরা কংলাক পাহাড়ে যাই।গাড়ি থেকে নেমে আমরা ছোট্ট একটা টং দোকানে বসি।পাহাড়ে ওঠার আগে বাবা আমাদের দুটি করে বাঁশ কিনে দিলে।পাহাড়ে উঠতে বাঁশের উপর ভর করে উঠতে হয়।বাবা আমাকে শিখিয়ে দিলো কিভাবে উঠতে হবে।প্রথমে আমার খুব ভয় পাচ্ছিলো।
বাবা আমাকে একটা ছড়া শিখিয়ে দিলো।বাবা বললো, একবার ছড়া বলবো এক পা আগাবো।এরপর” কংলাক পাহাড় হই হই” বলতে বলতে সত্যি আমি পাহাড়ে উঠে গেলাম।


মা বলেছে, কংলাক পাহাড় নাকি সাজেকের সর্বোচ্চ চূড়া। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮০০ ফুট উঁচু। সত্যি পাহাড়ের চূড়ায় ওঠার পর মনে হলো আমি মেঘ ধরতে পারবো।নিচে তাকাতে দেখি সবকিছু এত ছোট দেখাচ্ছে। আমার অনেক ভালো লেগেছে।
এরপর আমরা রিসোর্টে ফিরে আসি।কখন যে ঘুমিয়ে পড়ে ছিলাম টের পাই নি।ভোর সকালে মার ডাকে ঘুম ভাঙলো।বারান্দায় যেয়ে দেখি মেঘগুলো সব আমাদের ঘরে এসে পড়েছে।চারিদিকে সাদা আর সাদা।একটু পরেই সূর্যিমামা আমাদের হ্যালো বললো।তারপর মেঘগুলো ওদের বাসায় চলে গেলো।আমার অনেক ভালো লেগেছে।
এরপর করোনা ভাইরাসের জন্য আমরা আর কোথাও দূরে বেড়াতে যেতে পারিনি।আল্লাহ আপনি এই ভাইরাস নিয়ে যান। আমরা সবাই যেনো আবার বেড়াতে পারি আগের মতো।

নাম:সৈয়দা মাহিরা রহমান তুবা
শ্রেণি :দ্বিতীয়

মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ।