ঢাকাঃ দেশের বর্তমান সময়ে আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির গ্রাহকের করা মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন ইভ্যালির সিইও-এমডি মোহাম্মদ রাসেল ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান রাসেলের স্ত্রী শামীমা নাসরিন।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠান টি বর্তমানে এক হাজার কোটি টাকার মতো ঋণের দায়ে ডুবে আছে । অথচ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা আছে মাত্র ৩০ লাখ টাকা।
গ্রেফতারকৃত রাসেল গ্রাহকদের এসব দায় মেটাতে সক্ষম কিনা প্রশ্নের জবাবে রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ইভ্যালি গ্রাহকদের দায় না মিটাতে পারলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মানুষের অনেক টাকা নিয়েছে ইভ্যালি। কীভাবে তারা তাদের কমিটমেন্ট পূরণ করবে তা আমার জানা নেই। আমরা মনে করি, তারা গ্রাহকদের যে কমিটমেন্ট দিয়েছে, তারা যদি সেটি পূরণ করতে না পারে, তা হলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাদর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এটি করতেই হবে।
এমন সব প্রতিষ্ঠানে না জেনে বুঝে লেনদেন করার বিষয়ে সতর্ক করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘যারা এমন ব্যবসায় লগ্নি বা ইনভেস্ট করেন, তাদের বলছি— আপনারা প্রতারিত যাতে না হন, সেটি বুঝেই করবেন।
যেসব প্রতিষ্ঠান এই ধরনের প্রলোভনগুলো দেখাচ্ছে সেটি বাস্তবসম্মত কিনা তা নিজেরা চিন্তা করুন। চিন্তা করেই সেখানে ইনভেস্ট (লেনদেন) করবেন।
ইনভেস্ট করার আগে নিশ্চিত হয়ে নেবেন, এতে ঝুঁকি কতখানি আর (অর্থ বা পণ্য) কী রকম পাবেন। সেটি নিশ্চিত না করতে পারলে এমন প্রতিষ্ঠানে ইনভেস্টমেন্ট থেকে বিরত থাকবেন।’
তিনি বলেন, ‘আমি বলতে চাচ্ছি— যেসব লোভনীয় প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। যেমন যে গাড়ির দাম ১০০ টাকা, সে গাড়ি ৫০ টাকায় অফার করা হচ্ছে। এসব আকর্ষণীয় অফার বাস্তবসম্মত কিনা তা যাচাই করে অর্থলগ্নির কথা বলছি আমরা, যাতে কেউ প্রতারিত না হয়। প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু, সেটিও যাই করে যেন ইনভেস্ট করা হয়। জনগণকে এই বার্তাই দিতে চাচ্ছি আমি।’
বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ইভ্যালি ছাড়াও আরো কিছু প্রতিষ্ঠানের নাম শুনতে পাচ্ছি এগুলোর ব্যাপারে আগেভাগে সতর্ক হয়ে ইনভেস্ট করার জন্যও বলেন তিনি।
