অতনু চৌধুরী, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ দীর্ঘ ৫৪৪ দিন বন্ধ থাকার পর খুলেছে দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ফলে স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে সাড়ে তিন কোটি বেশি শিক্ষার্থীরা।
গত রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) স্কুল খোলা উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে আগে থেকেই। স্কুলে শিক্ষক – শিক্ষার্থী সবাই যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে, তার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত একাধিকবার শ্রেনী কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তুু সংক্রমণের দাপটে তা আর হয়ে ওঠেনি।
আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী কোথাও সংক্রমণের হার একটানা দুই সপ্তাহ ৫ শতাংশে স্থিতিশীল থাকলে সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যাবে। কিন্তুু বাংলাদেশে গত শনিবারও সংক্রমণের হার ৭ শতাংশের ওপরে ছিল।
প্রায় দেড় বছরের মতো এই সময়ে ঘরে থেকে নিজেদের সহপাঠীদেরও ভুলে গেছেন প্রাথমিকের অনেক শিশু শিক্ষার্থী।
এমনটা যে আগে ঘটতে পারে সেটা আগেই বোঝা যাচ্ছিলো। কারণ, দেশে সাধারণত জানুয়ারীতে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়। নতুন বইয়ের পাশাপাশি সহপাঠীদের সঙ্গেও গড়ে ওঠে বন্ধুত্বের সম্পর্ক।
কিন্তুু, গত মার্চে করোনার দাপটে যখন প্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়, তখন মাত্র দুই মাস ১৬ দিন নতুন সহপাঠীদের সাথে ক্লাসের সুযোগ পেয়েছেনন শিক্ষার্থীরা। এর ফলে চেনা – জানার সুযোগ পায়নি শিশু শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী তাদের শ্রেনি শিক্ষকদের নাম বলতে পারেননি। তারা জানান, অল্প দিন সব শিক্ষকদের সাথে তাদের চেনা – শোনা হয়ে ওঠেনি। ফলে এখন তাদের নতুন শিক্ষাবর্ষের মতোই সবার সাথে পরিচয় হতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে টাটিবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষ সুধাৎশু ঢালি বলেন, তারাও বিষয়টি লক্ষ্য করেছেন। মহামারীকালে শিক্ষার্থীদের সাথে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে স্বীকার করে তারা বলেন, এবার অন্তত দূরত্ব কিছুটা কমবে।
শিক্ষক আর সহপাঠীদের সঙ্গে সময়ের দূরত্ব খুব দ্রুতই কেটে গিয়ে প্রতিটি পাঠদান কেন্দ্রে আবারও ফিরে যাবে তার চিরায়ত রূপে, এমন প্রত্যাশাই সব শিক্ষক মহলের।