প্রায় দেড় বছর পর আনন্দে মুখরিত স্কুল প্রাঙ্গন
প্রায় দেড় বছর পর খুলেছে বিদ্যাপীঠ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করছে শিক্ষার্থীরা।
দীর্ঘদিন পর স্কুলে আসতে পেরে আনন্দের কমতি নেই শিক্ষার্থীদের। অভিভাবকদের মধ্যেও উচ্ছাস থাকলেও রয়েছে কিছুটা ভয়-ভীতি।
রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে আটটার দিকে মিরপুর ক্যন্টনম্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে গিয়ে দেখা যায় অভিভাবকেরা তাদের ছেলে মেয়েদের নিয়ে স্কুলে এসেছেন। স্কুলের ফটকে হ্যান্ড স্যানিটাইজ এবং তাপমাত্রা মেপে প্রবেশ করানো হচ্ছে, স্বাস্থ্য বিধি মানার প্রবনতাও দেখা গেছে শিক্ষার্থী ও অবিভাবকদের মাঝে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে একেক দিন একেক শ্রেণির ক্লাস করানো হবে প্রতিষ্ঠানগুলোয়।
স্কুলের প্রধান ফটকে একজন কর্মচারী শিক্ষার্থীদের হাত স্যানিটাইজ এবং ইনফারেড থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্রা মাপছেন । কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনু্যায়ী প্রতিদিন স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়গুলো পালন করা হবে।
বাবার সাথে দেড় বছর পর স্কুলে এসেছে ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী রুবিনা । এতোদিন পর স্কুলে এসে খুশি সে। তার বাবা বলেন, এখন যা নিয়ম কানুম দেখছি তাতে ভালো লাগছে। সরকার যেভাবে বলেছে সেভাবে মেনে চললেই নিরাপদ।
নোটিশ দিয়ে স্কুলের সামনে অভিভাবকদের ভিড় না করার অনুরোধ জানানো হলেও প্রতিস্ঠানের ফটকের সামনে অভিভাবকদের জটলা করতেও দেখা গেছে।
অভিভাবকদের দাবি, ছোট বাচ্চাদের নিতে অভিভাবকদের আসতে হয়। এজন্য সকলকেই সচেতন হতে হবে ।
প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরশির মা জলি জানান, এভাবে চললে রিস্কের মধ্যে পড়ে যেতে হবে।
এদিকে স্কুল শেষে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিজেদের বন্ধুদের সাথে অানন্দেে সাথে কিছুটা সময় কাটাতেও দেখা গেছে।