মতলবে বেতন না দেওয়ায় স্কুল ছাত্রীর অভিভাবক-কে মারলেন শিক্ষক
মতলব দক্ষিণ উপজেলার নায়েরগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর ভাইকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনা থেকে জানা যায়, সকালে বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী রুপা দেবনাথের বড় ভাই রূপক দেবনাথ তার বোনের অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়ার জন্য বিদ্যালয় আসে।
অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়ার সময় বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আলম প্রধান বকেয়া বেতন প্রদানের জন্য বলেন। বকেয়া বেতন দেওয়া না দেওয়া নিয়ে ছাত্রীর ভাই ও শিক্ষকের মাঝে তর্কবিতর্ক সৃষ্টি হয়।
একপর্যায়ে সহকারি শিক্ষক আলম প্রধান অফিস কক্ষে থাকা বেত দিয়ে রূপক দেবনাথ কে আঘাত করেন। বেত দিয়ে বেশ কয়েকবার আঘাত করার পর রুপক তার হাত দিয়ে বেত ধরে টানাহেঁচড়া করেন। বিষয়টি শোনার পর বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য ও নায়েরগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মামুন মিয়া ও তার সহযোগীরা অফিসকক্ষে এসে রূপক দেবনাথ কে মারধর করেন।
এ বিষয়ে একাধিক অভিবাবকরা বলেন বকেয়া টাকা না দেওয়ায় ছাত্রীর বড় ভাইকে মারধর করে। মারধরের বিষয়টি লজ্জা জনক আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং তদন্ত পুর্বক সুষ্ঠ বিচার চাই ।
সহকারী শিক্ষক আলম প্রধান বলেন, প্রধান শিক্ষকের নির্দেশনায় আমরা বকেয়া বেতন আদায় করার চেষ্টা করছি। তার কাছেও বেতন চাওয়া হয়েছিল, কিন্তু সে খারাপ আচরণ করেছে বলেই শাসন করা হয়েছে।
রূপক দেবনাথের বাবা কৃষ্ণা দেবনাথ জানান, বিদ্যালয়ের ঘটনা শুনে আমি আমার ছেলেকে নিয়ে আসি। আমার বাপ দাদার জন্ম এখানেই, কিন্তু আমরা সনাতন ধর্মাবলম্বী। ঘটনার পর আমাকে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে, তাই এই নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে চাচ্ছি না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবির বলেন, ওই ছাত্রীর বড় ভাইকে মারধর করার মতো কোনো ঘটনাই হয়নি। বরং বেতন চাওয়ায় সেই সহকারী প্রধান শিক্ষকের সাথে খারাপ আচরণ করেছে পরবর্তীতে তার বাবা এসে তাকে নিয়ে যায়।
অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে এসে বকেয়া বেতন চাওয়া নিয়ে শিক্ষার্থীকে মারধর এর বিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জয়নাল আবেদিন জয় এর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়ার পরও তিনি রিসিভ করেননি।