লোহাগাড়ায় সারের মূল্য বৃদ্ধিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক
নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলায় সারের দোকানে অতিরিক্ত দাম দিয়ে সার বিক্রি করছে ডিলাররা। উপজেলায় বেশ কিছুদিন ধরেই সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মুল্য ব্যতিত অধিক দামে সার বিক্রি করছে কিছু অসাধু ব্যাবসায়ীরা।
উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা ও এ ব্যাপারে বিস্শ্বয় প্রকাশ করেছেন। একজন ইউনিয়ন কৃষি কর্মকর্তা বাজারে উচ্চ মুল্যে সার বিক্রি করার জন্য ডিলার ও সাব-ডিলারদের নির্দেশ দেন।সকল ইউনিয়ন কৃষি কর্মকর্তা যদি সারের দোকান মনিটরিং করতে পারতো তাহলে হয়তো সারের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব
সার ডিলারদের থেকে জানা যায়, বর্তমান তাদের যে বরাদ্দ দিয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। প্রতি বছরে যে বরাদ্দের চাহিদা দেওয়া হয় সে অনুযায়ী সার সরবরাহ থাকলে সমস্যা হত না বলে মনে করেন।
লোহাগড়া উপজেলায় কৃষকদের সার সংকটে পড়ার কারন চাহিদা মোতাবেক সার না থাকার জন্য। এ কারনে নড়াইল জেলা কৃষি কর্মকর্তার সুদৃষ্টির প্রয়োজন
তা নাহলে কৃষকরা আর্থিক ভাবে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
কৃষক আবু সোনা,গ্রাম কুমড়ি, নুরকান মিয়া,গ্রাম সারোল, বুলু গ্রাম চরদিঘলিয়া,কিবরিয়া গ্রাম গাজীপুর, মোস্তফা গ্রাম কুমড়ি|মিঠু গ্রাম কাঞ্চনপুর,সামাদ গ্রাম হালদা, কাদের গ্রাম রায়গ্রাম,হাফিজ গ্রাম ব্রাম্মন ডাংগা সাইফুল গ্রাম গন্ডব, বোরাক গ্রাম ধানাইড়,শরাফত গ্রাম মানিকগঞ্জ, জিয়া,গ্রাম নোয়াখোলা, শিক্ষক আবু বক্কর মরিচপাশা, আরো ৩৫/৪০ জন কৃষক বলেন সকল সারের দোকানে আমাদের নিকট থেকে সারের দাম অতিরিক্ত নেওয়া হচ্ছে।
ডিলার প্রতিবস্তা ইউরিয়া সারের দাম ৯০০ টাকা কখনও ৮৫০ টাকা কখনও ৯২০ টাকা নিয়ে থাকে।
আমরা নিরুপায় হয়ে দোকানদারের কথা মত সার কিনতে হচ্ছে। কারন জমিতে সার দিতেই হবে। আমরা জানি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সারের একটা নির্ধারিত দাম দিয়েছেন কিন্ত সে দামে আমাদের কোন সারের দোকানদার সার বিক্রি করে না।
লোহাগড়া উপজেলায় ১২ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা।আনুমানিক লোহাগড়া উপজেলায় ১৩ জন সার ডিলার আছে। ডিলাররা সকলে স্বেচ্ছাচারিতা করে সার বিক্রয় করে।
হাবিবুল্লাহ বাহার নামে একজন সারের ডিলার তার একই পরিবারের আত্মীয় স্বজন দিয়ে লোহাগড়া উপজেলার ৪ টি এবং নড়াইলে ২ টি সারের লাইসেন্স আছে।
হাবিবউল্লাহ বাহার বলেন আমি বিধি মোতাবেক লাইসেন্স করেছি। আমার পরিবারের কথা বলেছেন তা সঠিক না।এছাড়া আরো জানা যায় অনেক সার ডিলার খুচরা বিক্রি করেন না।
ডিলাররা সময় মত দোকান খোলে না।সাব ডিলারগন খেয়াল খুশি মত চড়া দামে সার বিক্রি করে। ওদের তদারকি করার তেমন কেহ নাই।
সাব ডিলার মানিকগঞ্জ বাজার হায়াতুর রহমান চড়ামুল্যে সার বিক্রি করে। তিনি বলেন আমাদের নিকট থেকে ডিলার ১ বস্তা ইউরিয়া মুল্য রাখেন ৮৫০ টাকা আমরা বিক্রি করি ৯০০টাকা থেকে ৯২০ টাকা করে।এসময় সাংবাদিকগন সারের উচ্চ মুল্যের কারন জানতে চাইলে তিনি বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে এড়িয়ে যান।
নলদী বাজারের সাব-ডিলারগন ১৮ থেকে ১৯ টাকা দরে ইউরিয়া সার বিক্রি করছেন।তারা কোন নিয়মনীতি মানতে বাধ্য নয়।
লোহাগড়া বাজারের কুন্ডুল। জয়পুর এর নুরইসলা।কাঠাল তলার জিয়াউর রহমান।মরন মোড়ের ওহিদুল ইসলাম|এড়েন্দা বাজারের মানিক। কলাগাছি বাজারের নারায়ন ঘোষ| পাচুড়িয়া বাজারের ইমরুল|দিঘলিয়া বাজারের লিটন সাহা।
আরো ৮/৯ জন সাব ডিলার সাংবাদিকদের বলেন ডিলার আমাদের নিকট থেকে বেশী দাম নেওয়া কারনে আমাদের ও উচ্চ মুল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে।
কোন কোন সাব-ডিলার ৭৮০টাকা দরে ইউরিয়া সার ডিলারের নিকট থেকে ক্রয় করেন নাই বলে জানায়।
এ সকল সাব ডিলারগন কোন প্রকার ক্রয় মেমো সাংবাদিকদের দেখাতে পারে নাই।
এবিষয়ে কয়েকজন ডিলার জানায় আমরা যে বরাদ্দ পাই তা সমানভাবে বন্টন করা হয়।যদি কেহ আমাদের নামে মিথ্যা বলে আমাদের বলার কিছু নাই।
লোহাগড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রইচ উদ্দিন বলেন আমি শুনেছি খুচরা দোকান ও ডিলারগন উচ্চ মুল্যে সার বিক্রয় করতেছে। মাঠ পর্যায়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।বর্তমান যে সারের সংকট দেখা দিয়েছে তার একমাত্র কারন সারের গোডাউন পরিবর্তনের কারনে|সঠিক সময় সারের যোগান দিতে পারে নাই।
মৎস ঘেরের জন্য কোন বরাদ্দকৃত নেই। তবে ঘের মালিকগন অতিরিক্ত সার ব্যবহারের কারনে সংকটের সৃষ্টি হতে পারে।