মিথ্যা ঘোষণায় সঞ্চয়পত্র কিনলে হতে পারে জেল-জরিমানা – Newsroom bd24.
ঢাকাসোমবার , ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

মিথ্যা ঘোষণায় সঞ্চয়পত্র কিনলে হতে পারে জেল-জরিমানা

মামুন অর রশিদ (ডেস্ক নিউজ)
সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১ ৬:৪৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

 

মিথ্যা ঘোষণায় সঞ্চয়পত্র কিনলে হতে পারে জেল-জরিমানা

 

সঞ্চয়পত্র কিনতে গিয়ে মিথ্যা তথ্য দিলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের জেল হতে পারে। সেইসঙ্গে হতে পারে এক লাখ টাকা জরিমানা। আবার উভয় দণ্ডও হতে পারে। এমন বিধান রেখে ‘সরকারি ঋণ আইন, ২০২১’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ আইনটি অনুমোদন দেওয়া হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।

 

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ অনুমোদনের কথা জানান।

 

এ সময় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব বলেন, ‘আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের পক্ষে সঞ্চয়পত্রের অথরিটি হিসেবে কাজ করবে।

 

আমাদের সরকারি ‘ঋণ অ্যাক্ট ছিল ১৯৪৪’ সালের, বিভিন্ন সময় সেটি প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হয়েছে। বাস্তব অবস্থার পরিস্থিতিতে ঋণ পদ্ধতি ও ডিপোজিট সিস্টেমও চেঞ্জ হয়ে গেছে, তাই নতুন আইন করতে হচ্ছে। বিস্তারিত আলোচনার পর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন  দেওয়া হয়েছে।’

 

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘খসড়া আইনে ৪০টি ধারা রয়েছে। এর মূল বিষয় হচ্ছে, সরকারের বাজেট ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে ঘাটতি অর্থায়ন, বা অন্য কোনও উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক গৃহীত বা দেশীয় বা বিদেশি মুদ্রায় গৃহীত সুদ বা মুনাফা যুক্ত,অথবা সুদ বা মুনাফা মুক্ত যেকোনও প্রকারের ঋণ বিনিয়োগ সংগ্রহ করা।’

 

সচিব জানান, সরকার যে ঋণটা নেবে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে, এর বিপরীতে একটি গ্যারান্টি থাকবে— যে টাকাটা সে দেবে ওই টাকা ফেরত পাওয়ার গ্যারান্টি থাকবে। অনেক সময় প্রাইভেট ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানও গ্রাহককে তাদের সুবিধা দেয়, তবে এখানে যেহেতু সরকার করছে, তাই গ্রাহককে এ নিরাপত্তা দেবে, যেভাবেই হোক প্রপার ডিউ তারা ফেরত পাবেন।

 

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘খসড়া আইন অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের স্বত্ব অর্জনের উদ্দেশ্যে মিথ্যা বক্তব্য দিলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন । যে টাকা-পয়সা ডিপোজিট করবে তা নিয়ে যদি মিথ্যা কথা বলে, তা কোথা থেকে আসলো সেটা যদি না থাকে, ইনকাম ট্যাক্সে যদি দেখানো না হয়, সে যদি এসব তথ্য মিথ্যা তথ্য দেয়, তাহলে সেক্ষেত্রে এ শাস্তি দেওয়া হবে।’

 

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, স্বাভাবিক ডিপোজিট ব্যবস্থার পাশাপাশি শরিয়াভিত্তিক ডিপোজিট ব্যবস্থার চিন্তা-ভাবনা করা হয়েছে। সরকারি ঋণ অফিসগুলোর ভূমিকা ঠিক করে দেওয়া হবে, কে কী করবে। শরিয়াভিত্তিক সরকারি সিকিউরিটি ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিধানাবলী প্রস্তাব করা হয়েছে।

 

 

   
%d bloggers like this: