বার বার পুলিশের কাছে গ্রেফতার হয়েও চুরির মতো পুরনো পেশা কি আর ছাড়া যায়। তবে এ পেশায় জনগণের হাতে ধরা পড়ার ঝুঁকিও আছে সিলেটের বিয়ানী বাজার পৌরশহরের বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় দিন দুপুরে চুরির মতো দুঃসাহসিক ঘটনা ঘটিয়েই চলেছেন রোকেয়া বেগম লিলি ওরফে লিমা নামের এক মহিলা। রাতারাতি বড়লোক হবার নেশায় ঐ মহিলা চুরির পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন এ যে কম পরিশ্রমে বেশি লাভ। ভাড়া থাকেন বিলাসবহুল বাসায় মাসে বাসার ভাড়া গুনতে হয় ২৫ হাজার টাকা অথচ পেশায় তিনি একজন চুর।
ওই মহিলা জকিগঞ্জ উপজেলার কোনা গ্রামের আব্দুস সালামের স্ত্রী সে বর্তমানে পৌরশহরের নয়াগ্রামের আবুল ফজলের বাসায় ভাড়া থাকে। একের পর এক চুরির ঘটনায় পৌরশহরে মানুষজনদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে পুলিশ জানায়- চুরির পর বেশ কয়েকবার পালিয়ে গেছেন আবার কখনও কখনও জনতা ও পুলিশের হাতে আটক হয়ে ঠিকানা হয়েছে হাজতে। সবশেষ গত বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) বিয়ানীবাজার পৌরশহরের সিটি ডায়াগনস্টির সেন্টারে চুরি করতে যেয়ে ধরা পড়ে ওই মহিলা পরবর্তীতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ হিল্লোল রায় জানান- দীর্ঘদিন থেকে ওই মহিলা চুরির সাথে জড়িত। আগেও তাকে বিয়ানীবাজার পৌরশহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাছাড়া বিয়ানীবাজার থানায় ২টি ও কানাইঘাট থানায় ১টি চুরির মামলাও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।