শ্রীমঙ্গলে ছাত্রলীগের সঙ্গে চা শ্রমিকদের সংঘর্ষ রিসোর্ট ভাঙচুর – Newsroom bd24.
ঢাকাশুক্রবার , ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

শ্রীমঙ্গলে ছাত্রলীগের সঙ্গে চা শ্রমিকদের সংঘর্ষ রিসোর্ট ভাঙচুর

লিটন পাঠান ( সিলেট ব্যুরো প্রধান)
সেপ্টেম্বর ৩, ২০২১ ৭:১৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

 

শ্রীমঙ্গলে ছাত্রলীগের সঙ্গে চা শ্রমিকদের সংঘর্ষ রিসোর্ট ভাঙচুর

 

 

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ঢাকার ছাত্রলীগ নেতাদের ছবি তুলতে নিষেধ করায় জেরিন চা বাগানের ডেপুটি ম্যানেজারকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে চা বাগানের শ্রমিকরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে ও একটি রিসোর্টে ভাংচুর চালায়। খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করে শুক্রবার সকালে উপজেলার রাধানগর এলাকার গ্র্যান্ড মুবিন রিসোর্টে এই ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনায় হামলায় দুই পক্ষের প্রায় ১৫ জন আহত হয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন আহতরা হলেন জেরিন চা বাগানের।

 

শ্রমিক মামুন মিয়া (২৪) অঞ্জলী ব্যক্তি (২৫), ছন্দা সবর (৩৫) বিশ্বমনী রিকিয়াশন(২৬), পারুল বেগম (৩০), ভারতী সাওতাল (৪০), অনিতা গোয়ালা (৪০), আলো মনি বাড়ই (২৫), সৃতি সাংমা (৪০), মুসলিম মিয়া (২০), উত্তম গড়াই (২৫), আব্দুল কাদির (২৬), ইন্দ্রজিত দাস (২৫) ও ঢাকা থেকে আসা ছাত্রলীগের নেতা মো. রাফি ঢাকা(২৯), মো রাসেল মিয়া (২৭) গ্র্যান্ড মুবিন রিসোর্ট ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা মহানগর (উত্তর) ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহীম হোসেন ও ঢাকার উত্তর ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের আরো ১৮ নেতাকর্মী গত বৃহস্পতিবার রিসোর্টে উঠেছিলেন শুক্রবার সাড়ে ১১টার দিকে তারা রিসোর্টের পার্শ্বে জেরিন চা বাগানের ৯ নং সেকশনের কালাবন এলাকার ছবি তুলছিলেন।

 

এ সময় ওই এলাকায় কর্মরত মহিলা চা শ্রমিকরা তাদের ছবি তুলতে নিষেধ করলে শ্রমিকদের সাথে নেতাকর্মীদের কথা কাটাকাটি হয়। পরে হামলার ঘটনাটি ঘটে। সরজমিন গ্র্যান্ড মবিন রিসোর্টে গিয়ে দেখা যায়, রিসোর্টের চারটি রুমের আসবাব পত্র, জানালা দরজা ভেঙ্গে মাটিতে পড়ে আছে
রিসোর্টের সিসিটিভি, টেলিভিশন পানির পাইপ ও ফুলের টপ চেয়ার ইত্যাদি ভেঙ্গে রাখা হয়েছে। ঘরের ভিতর রান্না করা খাবার পড়ে রয়েছে রিসোর্টের মালিক আব্দুল মুবিন বলেন, ঝামেলা যা হওয়ার হয়েছে। কিন্তু এভাবে আমার রিসোর্টে হামলা চালানো উচিত হয় নি চা বাগানের শ্রমিকরা এখানে এভাবে হামলা চালানোর ফলে আমার রিসোর্টের অনেক মালামাল নষ্ট হয়েছে।

 

আমার এই ক্ষতি কিভাবে পূরণ হবে জেরিন চা বাগানের ব্যবস্থাপক সেলিম রেজা বলেন, রিসোর্টের পাশের চা বাগানে নারী শ্রমিকরা চা পাতা তুলার কাজ করছিলো। চা বাগানে নারী শ্রমিকরা খুব কম কাপড় পরে কাজ করে। এসময় ঢাকা থেকে আসা ছাত্রলীগের কর্মীরা চা বাগানে ঢুকে নারীদের ছবি তুলছিলো। চা বাগানের শ্রমিকরা ও আমাদের ডেপুটি ম্যানেজার মো. আলী তাদেরকে ছবি তুলতে নিষেধ করলে তারা ডেপুটি ম্যানেজারকে গাল মন্দ করে। তারা বলে যে এটি সরকারি জায়গা, আমরা ছবি তুললে আপনাদের কি? ম্যানেজার বারবার তাদের নিষেধ করলেও তারা উত্তেজিতভাবে কথা বলতে থাকে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে তারা আমাদের ডেপুটি ম্যানেজার এর গায়ে হাত তুলে তাকে টেনে রিসোর্টে নিয়ে যেতে চাইলে।

 

চা বাগানের শ্রমিকরা বাধা দেয় ছাত্রলীগের কর্মীরা নারী শ্রমিক ও ম্যানেজার এর উপর হামলা করলে শ্রমিকরা চা বাগানের পাগলা ঘন্টা বাজালে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে রিসোর্টে যায়, পরে আমরা গিয়ে শ্রমিকদেরকে শান্ত করে বাগানে ফিরিয়ে এনেছি ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, চা বাগানে ছবি তোলা নিয়ে স্থানীয় চা শ্রমিকদের সাথে একটু কথা-কাটাকাটি হয়েছিলো পরে স্থানীয়রা এসে এটির একটি সমাধান করে দিয়েছেন।