মৃত্যুর ২৩ দিন পর জানা গেল করোনা পজিটিভ।   – Newsroom bd24.
ঢাকামঙ্গলবার , ৩১ আগস্ট ২০২১

মৃত্যুর ২৩ দিন পর জানা গেল করোনা পজিটিভ।  

লিটন পাঠান, (সিলেট প্রতিনিধি)
আগস্ট ৩১, ২০২১ ৮:২৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

 

নারীর মৃত্যুর ২৩ দিন পর জানা গেল করোনা পজিটিভ।

 

হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নমুনা দেয়ার ২৩ দিন পর জানা গেল তিনি করোনা পজিটিভ। কিন্তু এরই মধ্যে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন নমুনা দেয়া ওই নারী। যা নিয়ে আক্ষেপের শেষ নেই মৃত ওই নারীর স্বজনদের। আর এমন আক্ষেপের কথা নিজের ফেসবুক পেইজে লিখেছেন হবিগঞ্জ মটর মালিক গ্রুপের সাধারণ শংখ শুভ্র রায়।

 

তিনি উল্লেখ করেন, তার পিসি দিবা রায় গত ৭ আগস্ট করোনা টেস্টের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নমুনা দিয়েছিলেন। কিন্তু দিনের পর দিন পার হয়ে গেলেও আসেনি সেই কাঙ্খিত ফলাফল। আর এই মধ্যে তার শাররিক অসুস্থতা বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১২ আগস্ট সিলেটের বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সেখানে তার অবস্থার আরো অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়।

 

সেখানেই তিনি গতকাল সন্ধ্যায় চলে যান না ফেরার দেশে
দিবা রায় হবিগঞ্জ শহরের কালিবাড়ি রোড এলাকার বাসিন্দা ও নিখিল রঞ্জন দেবের স্ত্রী। তিনি স্থানীয় রামচরণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষিকা ছিলেন। এদিকে, (৩১আগস্ট) দুপুরে করোনা টেস্টে ওই নারী পজিটিভ হওয়ার ম্যাসেজ পায় তার স্বজনরা। স্বজনরা বলছেন, এ দায় কে নেবে। যদি সময়মতো রেজাল্ট আসত তা হলে হয়তো তাকে দ্রুতে উন্নত চিকিৎসা দেয়া যেত।

 

হবিগঞ্জ মটর মালিক গ্রুপের সাধারণ শংখ শুভ্র রায় জানান, রিপোর্টের জন্য অপেক্ষায় থেকে দিবা রায়ের শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে তীব্র শ্বাসকষ্টসহ নানা সমস্যা দেখা দিলে তাকে সিলেটে নেওয়া হয় সেখানে ১৬ দিন তিনি আইসিউতে ছিলেন চিকিৎসায় খরচ হয়েছে ৬ লাখ টাকা

 

তিনি আরও জানান, স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে যদি সময়মতো করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসতো তাহলে আগে থেকেই তার চিকিৎসা শুরু করা যেত। ফুসফুস অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় চিকিৎসা দিয়েও তাকে বাঁচানো যায়নি। এজন্য তিনি স্বাস্থ্য বিভাগের অবহেলাকে দায়ী করেছেন।

 

এ বিষয়ে জানতে হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. একেএম মোস্তাফিজুর রহমানের মোবাইল ফোনে একধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি
তবে স্বাস্থ্য বিভাগের আরেকটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে সিলেটে শাবিপ্রবির ল্যাবের সঙ্গে স্বাস্থ্যবিভাগের সম্পর্কের অবনতি ঘটনায় বেশ কিছু রিপোর্ট আসতে দেরি হয়েছে।