মৌলভীবাজারে পুরস্কৃত হলেন সাত নারী মৎস্যচাষি
মৌলভীবাজারে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে মৎস্যজীবী ও মৎস্যচাষিদের উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে সাতজন সফল নারী মৎস্যচাষি ও পাঁচজন মৎস্য উদ্যোক্তাকে পুরস্কার দিয়েছে জেলা মৎস্য অধিদপ্তর।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন মৌলভী বাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ। রবিবার (২৯-আগস্ট) সকালে জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য অফিসের যৌথ উদ্যোগে পৌরসভা পুকুরে রুই, কাতলা, মৃগেল জাতীয় পোনা মাছ অবমুক্ত করেছেন নেছার আহমদ এমপি। এ সময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রুমানা ইয়াসমিন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমদাদুল হকসহ মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এরপর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন ও জেলার সফল সাতজন নারী মৎস্যজীবী এবং পাঁচজন সফল উদ্যোক্তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক পান্না দত্ত মৎস্য উদ্যোক্তা মো. আক্তারুজ্জামান, নারী মৎস্যচাষি পূজা দেব।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রুমানা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমদাদুল হক জানান, এবার জেলায় রাজস্ব খাত থেকে ৩ টন দেশীয় কার্প জাতীয় পোনা মাছ অবমুক্ত করা হবে এছাড়া ইতোমধ্যে বিল নার্সারী থেকে জেলার হাওড়গুলোতে প্রায় ৫ টন দেশীয় কার্প জাতীয় পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে।
এরফলে জেলার মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি এবং আমিষের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে ৩ সেপ্টেম্বর পযন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে জেলা মৎস্য অধিদপ্তর। এ সময় বক্তারা বলেন, হাকালুকি কাউয়াদীঘি, হাইল হাওড় অধ্যুষিত মৌলভীবাজার জেলায় প্রতিবছর মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে প্রাকৃতিক এসব জলাশয়ে প্রজনন মৌসুমে কমপক্ষে একমাস মাছ ধরা বন্ধ করা গেলে বিলুপ্ত প্রজাতির দেশীয় মাছ রক্ষা এবং উৎপাদন অনেক বেড়ে যাবে। এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করা হয় সভায় এছাড়া ভরাট হাওড়, খাল বিল খনন, দখল রোধে হাওড়ের সীমানা নির্ধারণ।
পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষা এবং মাছের খাদ্যের দাম কমানো গেলে উদ্যোক্তা বৃদ্ধি পাবে, আরও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে, বাড়বে মৎস্য উৎপাদন। প্রধান অতিথি নেছার আহমদ এমপি বলেন মৎস্য বিভাগের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর বাস্তবসম্পন্ন পদক্ষেপের ফলে মৌলভীবাজার জেলা গত কয়েক বছর ধরে মৎস্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত। এমনকি এ জেলার মাছ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। চলমান করোনা পরিস্থিতিতে মৌলভীবাজারের চাতলা সীমান্ত দিয়ে প্রায় দুই কোটি টাকার পাঙাশ, তেলাপিয়া ও গোলশা মাছ রপ্তানি হয়েছে শুধু তাই নয় জেলায় মৎস্য বিভাগের সহযোগিতায় বেড়েছে উদ্যোক্তা ও মৎস্যচাষি।
প্রাকৃতিক জলাশয়ে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির তাগিদ দেন এবং হাওড়ে প্রজনন মৌসুমে মাছ আহরণ বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনাসহ সহযোগিতার আশ্বাস দেন এ সময় সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় মৎস্য উৎপাদন আরও বৃদ্ধি হবে, দেশের অর্থনীতি ও আমিষের চাহিদা পূরণে মৌলভীবাজার অন্যতম জেলা হিসেবে ভূমিকা রাখবে এমন আশা প্রকাশ করেন তিনি।
নিউজরুম বিডি২৪।