আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিণত হতে যাচ্ছে কক্সবাজার বিমানবন্দর।
কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তর করার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। দেশি-বিদেশি পর্যটকরা সরাসরি ফ্লাইটে কক্সবাজার নামতে পারবেন। আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর তৈরি করতে টার্মিনাল ভবন নির্মাণ, রানওয়ে সম্প্রসারণ ও শক্তি বৃদ্ধি, এয়ারফিল্ড গ্রাউন্ড লাইটিং সিস্টেম স্থাপনসহ অন্যান্য কাজ দ্রুত শুরু হতে যাচ্ছে।
আগামী ২৯ শে আগস্ট প্রকল্পটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করার সম্মতি দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময়ে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের করে তোলার কথা বলেছেন। এছাড়াও দেশী-বিদেশী পর্যটকদের সুবিধার্থে বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক মানের গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহে কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ কাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যে রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৬৭৭৫ ফুট থেকে ৯ হাজার ফিট এবং প্রস্থ ১২০ ফিট থেকে ২০০ ফিটে উন্নীতকরণ করা হয়েছে। ২০১৭ সালে সম্প্রসারিত রানওয়েতে বিমানের বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ উড্ডয়ন ও অবতরণে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সে সময়ই এই বিমানবন্দরের রানওয়ে ৯ হাজার ফিট থেকে ১২ হাজার ফিটে উন্নীতকরণের নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। সেই নির্দেশনা মোতাবেক ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ‘কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ’ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এজন্য প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ৩৭০৯৬০ দশমিক ৮৪ লাখ টাকা। এই প্রকল্পের আওতায় বিমানবন্দরের রানওয়ে ৯ হাজার ফিট থেকে ১০৭০০ ফিটে উন্নীত হবে। এ ছাড়া প্রিসিশন এপ্রোচ ক্যাট-১ লাইটিং সিস্টেম স্থাপন করা হবে। ফলে উড়োজাহাজ পূর্ণ লোডে উড্ডয়ন ও অবতরণ করতে পারবে। যার কারণে বিমানবন্দরের ফ্লাইট সংখ্যার পাশাপাশি যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
এই প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে ভ্রমণপিপাসু দেশী-বিদেশী পর্যটকগন খুব সহজেই বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ভ্রমন করতে পারবেন। পর্যটকদের কক্সবাজার ভ্রমণ হবে আরো আরামদায়ক এবং উপভোগ্য।
নিউজরুম বিডি২৪।