সাতছড়ি উদ্যানে বন্যপ্রাণীদের জন্য ফলজ চারার নার্সারী – Newsroom bd24.
ঢাকাসোমবার , ২৩ আগস্ট ২০২১

সাতছড়ি উদ্যানে বন্যপ্রাণীদের জন্য ফলজ চারার নার্সারী

লিটন পাঠান ( সিলেট প্রতিনিধি )
আগস্ট ২৩, ২০২১ ৯:৫৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

 

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে বন্যপ্রাণীদের জন্য সোয়া ২ লক্ষাধিক ফলজ চারার নার্সারী

 

মাটির মমতা পেয়ে যেন হাসছে নার্সারির শিশুবৃক্ষগুলো এদের শরীরের রং গাঢ় সবুজ। দেখলে সহজেই অনুমান করা যায় এদের প্রয়োজনীয় শারীরিক পুষ্টি বল সবই যেন যথাযথ। রুগ্ন বা দূর্বলতা নেই একটি গাছেরও। শিশুচারাগুলোর সুস্বাস্থ্যের জন্য স্থানীয় প্রকৃতি পরিবেশের গুরুত্ব অনেকখানি সাতছড়ির প্রাকৃতিক পরিবেশ উত্তম, তার মধ্যে রয়েছে মাটির উর্বরতা সারের সঠিক ব্যবহার এবং নিয়মিত যত্নআত্তি। এগুলোর ফলেই চারাগাছগুলো রিষ্টপুষ্ট সম্প্রতি সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে গিয়ে দেখা যায় নার্সারিতে প্রাণ ফুটেছে হাজার হাজার চারাগাছের এ চারাগুলো বিশেষ প্রজাতির ফলদ বৃক্ষের।

যাকে সহজ ভাষায় পশুখাদ্যের গাছ হিসাবে উল্লেখ করা যেতে পারে বিশেষত জলপাই শিশুখাদ্যের বড় বড় পাতাগুলো তাদের শারীরিক সুষম পুষ্টির প্রমাণ দিচ্ছে। সাতছড়ি বন্যপ্রাণী রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন বলেন, আমাদের এই নার্সারিতে ২২ প্রজাতির ২ লাখ ২৮ হাজার চারা রয়েছে। এর সবগুলোই পশু পাখি খাদ্যের চারা গাছ আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের আমাদের সাতছড়ি বন্যপ্রাণী রেঞ্জের ১১০ হেক্টর বাগানের জন্য এই চারাগুলোকে বড় করে তোলা হচ্ছে প্রজাতির কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, চারার মধ্যে রয়েছে আমলকি হরিতকি, বহেরা, কাজুবাদাম।

কাঠবাদাম, ডুমুর, মান্দার, পলাশ, শিমুল, চাপালিশ, জলপাই, কালোজাম, ছতিয়ান, ডেওয়া, উরিয়াম, বট, বাশপাতা, কামদেব, হাড়গুজা, পিনজাম, বৈলাম এবং নাড়কেলি, বেশি পরিমাণে চারা আছে চাপালিশের বন্যপ্রাণী সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান রয়েছে। পৃথিবীব্যাপী মহাবিপন্ন উল্লুক এরা শুধুমাত্র লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান আর আমাদের এখানেই রয়েছে। আর দেশের কোথাও এত বড় সংখ্যায় এটা টিকে নেই। এদের চলাচলের জন্য উঁচু গাছ প্রয়োজন। কারণ এরা কখনোই মাটিতে নামে না। উঁচু গাছের পাশাপাশি উল্লুক সহ অন্যান্য প্রাণীদের প্রাকৃতিক খাদ্য নিশ্চিত করতেই আমাদের এরূপ উদ্যোগ।

বর্তমান বছরে আমরা সাতছড়ি রেঞ্জের সাতছড়ি বিট এবং তেলমাছড়া বিটের মোট ৫০ হেক্টর বাগানে ইতিমধ্যে ৮০ হাজার চারা ফলদ চারা এবং পশু খাদ্যের গাছ রোপনের কার্যক্রম চলছে বলে রেঞ্জার মাহমুদ হোসেন জানান
এ ব্যাপারে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন আমাদের ফলদ বৃক্ষের নার্সারিগুলোর উদ্দেশ্যে পশুপ্রাণীদের খাদ্য তো বটেই

এ ছাড়াও এগুলো রোপণ করা হলে দেশীয় প্রজাতির বৃক্ষগুলোও কিন্তু চলতি বর্ষা মৌসুমে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান এবং সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান দেশীয় প্রজাতির ফলদ বৃক্ষরোপণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।