স্বপ্নের মেট্রো রেল এর যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে। অপেক্ষা আর মাত্র ১০ দিন।
ডিপোর ভিতরে ট্রায়াল’ রাউন্ড শেষ হয়েছে। চলতি মাসেই মেইন লাইনে ট্রেন চলবে। প্রথমে ধীরগতিতে ভায়াডাক্টে এ চলবে মেট্রোরেল। এরপর ধীরে ধীরে গতি বাড়িয়ে ১১০ কিলোমিটার গতিতে চলবে স্বপ্নের মেট্রোরেল।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক জানিয়েছেন , চলতি মাসে ভায়াডাক্টের উপরে উঠবে মেট্রোরেল।
ট্রায়াল রাউন্ড অত্যন্ত সতর্কতার সাথে পরিচালনা করা হবে, প্রথমে ধীরগতিতে চললেও পরবর্তীতে ১১০ কিলোমিটার বেগে চলবে ট্রেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই নিয়ম অনুসরণ করা হবে। প্রথমে ট্রায়াল রাউন্ডের পরেই যাত্রীসহ যাত্রা করবে মেট্রোরেল।
বৈশ্বিক মহামারী করোনার ফলে বারবার অবকাঠামোগত উন্নয়নে বাধা গ্রস্থ হলেও অনেকটাই কাজ এখন গুছিয়ে এসেছে। নয়টি স্টেশনে অবকাঠামোর কাজ প্রায় শেষ। প্রথম পাঁচটিতে বসেছে শেড এবং তিনটি স্টেশনে বসেছে চলন্ত সিঁড়ি।
সার্বিক বিবেচনায় জুলাই মাসের শেষ পর্যন্ত মোট কাজের প্রায় ৭০% শেষ হয়ে এসেছে।
তৃতীয় ও চতুর্থ কোচের সেট শুক্রবার (২০ আগস্ট) জেটি ঘাট থেকে দিয়াবাড়ীর ডিপোতে নেওয়া হয়েছে। ৬টি বগির সেট নিয়ে ওয়ার্কশপ থেকে প্রায় ৫০০ মিটার পাড়ি দেয় বিদ্যুৎচালিত এ ট্রেন। ফলে ২৪ সেট ট্রেনের মধ্যে ৪ সেট এখন দেশে। এভাবে জাপান থেকে আসবে আরও ২০টি সেট।
মেকানিক্যাল-ইলেকট্রিক্যাল, ওয়াশিংসহ প্রতিটি কোচের প্রায় ১৯ ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। এরপরই কোচগুলো লাইনে উঠবে। এ কাজে দেড় থেকে দুই মাস সময় লাগতে পারে। সব মিলিয়ে ২৪ সেট ট্রেনের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে চার হাজার ২৫৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
এম এ এন ছিদ্দিক আরো বলেন, প্রথমদিকে অবকাঠামোগত কাজের অগ্রগতির প্রায় ৮৬ শতাংশ থাকলেও পরবর্তীতে তা ৫০% নেমে আসে কিন্তু এরপরেও কাজের অগ্রগতির মাধ্যমে জুলাই মাসের শেষ অবধি প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ শেষ করা সম্ভব হয়েছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
সব ঠিক থাকলে আর মাত্র ১০ দিন পরেই স্বপ্নের মেট্রোরেলের প্রথম ঝলক দেখবে নগরবাসী।