ধারণক্ষমতার শতভাগ যাত্রী নিয়ে ১৯ দিন পর আবারও সড়কে চলতে শুরু করেছে গণপরিবহন। বুধবার (১১ আগস্ট) ভোর থেকে রাজধানীতে গণপরিবহন চলতে শুরু করে।
এবার অর্ধেক গণপরিবহন সড়কে নামিয়ে তাতে শতভাগ যাত্রী পরিবহনের নির্দেশনা দিয়ে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে।
তবে রাস্তায় অর্ধেক গাড়ি চলাচল নির্ণয় করা কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।
তিনি বলেন, প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চলাচল করবে। এক্ষেত্রে এক মালিকের কয়টি গাড়ি আছে বা কতটি গাড়ি চালাচ্ছে দেশব্যাপী এ বিষয়টি নির্ণয় করা একদিকে যেমন কঠিন হবে অন্যদিকে শ্রমিকরাও বেকার থাকবে তাদের কষ্ট লাঘব শেষ হবে না।
মালিকরাও ব্যবসায়িকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তাছাড়া দীর্ঘদিন পরে গাডড়ি চালু হবে, যার একটি মাত্র গাড়ি আছে তার অবস্থা কি হবে অর্ধেক গাড়ি চলাচল করলে পরিবহন সংকট দেখা দেবে এবং যাত্রীর চাপ বাড়বে।
এতে করে সংক্রমণ বাড়ার সম্ভাবনা থাকবে।
'এসব দিক বিবেচনা করে মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চলাচলের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে সব গাড়ি চলাচলের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আমরা সরকারের কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি। '
তিনি আরো বলেন, আমরা সরকারের নির্দেশনা মেনেই বর্ধিত ভাড়া না নিয়ে আগের ভাড়ায় গাড়ি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
গণপরিবহন চালুর বিষয়ে সার্বিক নির্দেশনা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)৷
পাশাপাশি পূর্ণসংখ্যার যাত্রী নিয়ে চলতে শুরু করেছে রেল। বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূর্ণসংখ্যক যাত্রী নিয়ে আজ থেকে চলাচল শুরু করেছে।
নদীবন্দর এবং লঞ্চঘাট গুলোতে ও একই চিত্র দেখা গেছে। স্বাভাবিকের ন্যায় যাত্রী পরিবহন শুরু করেছে লঞ্চগুলো তবে এ ক্ষেত্রে বাড়তি স্বাস্থ্য বিধি মানার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।
নিউজরুম বিডি২৪।