নব্য জেএমবির প্রশিক্ষক, বোমা জাহিদ গ্রেফতার। – Newsroom bd24.
ঢাকাবুধবার , ১১ আগস্ট ২০২১

নব্য জেএমবির প্রশিক্ষক, বোমা জাহিদ গ্রেফতার।

মামুন অর রশিদ (ডেস্ক ঢাকা)
আগস্ট ১১, ২০২১ ৩:৫৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

 

নব্য জেএমবির প্রশিক্ষক, বোমা জাহিদ গ্রেফতার।

 

‘দূরনিয়ন্ত্রিত বা রিমোট কন্ট্রোল বোমা’ তৈরির প্রশিক্ষক জাহিদ হাসান ওরফে বোমা জাহিদকে গ্রেপ্তার করেছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর কাফরুল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বুধবার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিটিটিসির প্রধান পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, অনলাইনে বিভিন্ন সিক্রেট অ্যাপ ব্যবহার করে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দিতেন জাহিদ (ফোরকান)।

তিনি আরো বলেন, গত কয়েক বছরে ১০-১২টি পুলিশ বক্সে বোমা হামলার চেষ্টা চালায় নব্য জেএমবির সদস্যরা। বোমাগুলো ছিল একই প্যাটার্নের। যারা বোমগুলো বানায় তাদের বিভিন্ন সময় অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়।

এরপর নতুন করে আবার মেলে একই প্যাটার্নের বোমার খোঁজ। ফলে তদন্তে নামে সিটিটিসি। তদন্তের একপর্যায়ে উঠে আসে নব্য জেএমবির সদস্য জাহিদের নাম। তিনিই অনলাইনে বোমা বানানো শেখান।

 

 

সিটিটিসি প্রধান বলেন, জাহিদ বেশকিছু দিন ধরে পলাতক ছিলেন। সম্প্রতি গ্রেপ্তার হন তার দুই সহযোগী শফিকুর রহমান হৃদয় ওরফে বাইতুল্লাহ মেহসুদ ওরফে ক্যাপ্টেন খাত্তাব ও মো. খালিদ হাসান ভূঁইয়া ওরফে আফনান।

সিটিটিসি প্রধান আসাদুজ্জামান বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ফোরকান পড়ছিলেন রসায়ন বিভাগে। তার সবচেয়ে বড় পরিচিতি ছিল নব্য জেএমবির বোমা তৈরির অন্যতম কারিগর হিসেবে। সে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় হতে রসায়নে অনার্স সম্পন্ন করেছে। জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত হওয়ায় এবং হিজরত করায় মাস্টার্স সম্পন্ন করতে পারেনি ফোরকান।

২০১৬ সালে অনলাইনে ‘হোয়াইট হাউজের মুফতি’ নামে আইডির মাধ্যমে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে নব্য জেএমবির তৎকালীন আমির মুসার হাত ধরে সে এই সংগঠনে যোগদান করে। আমির মুসার সঙ্গে কাজ করার সুবাদে সংগঠনের ওই সময়ের শীর্ষস্থানীয় জঙ্গিদের নজরে আসে এবং তাদের সার্বক্ষণিক সঙ্গী হিসেবে কাজ করে।

তিনি বলেন, রসায়নে পারদর্শী হওয়ার কারণে তার মেধা এবং সাহসের জন্য তাকে এই সংগঠনের সামরিক শাখার সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। রসায়নের ছাত্র হওয়ার সুবাদে সে অল্পদিনে গ্রেনেড ও বোমা বানানোর কাজে অত্যন্ত দক্ষ হয়ে ওঠে এবং নিত্য নতুন কৌশলে আইইডি প্রস্তুত করে। এই সংগঠনের যারা বোমা তৈরি করতো তাদেরকে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দিত এই ফোরকান।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সিটিটিসি তথা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানে নব্য জিএমবির শীর্ষস্থানীয় জঙ্গিরা গ্রেফতার, নিহত হলে এই সংগঠনটি সাংগঠনিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। এ সময় ফোরকান গ্রেফতার এড়ানোর জন্য আত্মগোপনে চলে যায়।

পুনরায় সে নতুন আমিরের নেতৃত্বে সংগঠনকে সংগঠিত করার উদ্যোগ নেয়। তারই অংশ হিসেবে অনলাইনে আইডি খোলার মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যারা অত্যন্ত সাহসী ও সামরিক বিভাগে কাজ করতে আগ্রহীদের মধ্য থেকে বাছাইকৃত সদস্যদের বিভিন্ন ধরনের টাইম ও রিমোট কন্ট্রোল বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দিত ফোরকান।

 

 

নিউজরুম বিডি২৪। 

 

   
%d bloggers like this: