পোশাক রপ্তানিতে অবস্থান হারাল বাংলাদেশ।
পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের স্থান এক ধাপ নিচে নামলো। বাংলাদেশ কে টপকে দ্বিতীয়স্থান দখল করে নিয়েছে ভিয়েতনাম। বাংলাদেশের অবস্থান এখন তৃতীয়; বরাবরের মতো চীন সবার ওপরেই আছে।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিসটিকস রিভিউ ২০২১ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে ডব্লিউটিও। তাতে দেখা যায়, ২০২০ সালে ভিয়েতনাম ২ হাজার ৯০০ কোটি (২৯ বিলিয়ন) ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। আর বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ২ হাজার ৮০০ কোটি (২৮ বিলিয়ন) ডলারের পোশাক। তার আগের বছর বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। তখন ভিয়েতনামের রপ্তানি ছিল ৩ হাজার ১০০ কোটি ডলার।
তবে, অর্থবছরের হিসাবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি গত অর্থবছরের চেয়ে বেশি।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য থেকে জানা যায়, গত ২০২০-২১ অর্থবছরে (২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ৩০ জুন) ৩১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ।
চীনের পোশাক খাতের অনেক বিনিয়োগ ভিয়েতনামে চলে যাওয়ায় কয়েক বছর ধরেই পোশাক রপ্তানিতে অবস্থান হারানোর শঙ্কা ছিল বাংলাদেশে।
গত দু-তিন বছরে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছিল ভিয়েতনাম। শেষ পর্যন্ত টপকেই গেল পূর্ব এশিয়ার দেশটি। পোশাক রপ্তানিতে ভিয়েতনাম এখন দ্বিতীয়।
তবে, এ নিয়ে মোটেই উদ্বিগ্ন নন বাংলাদেশের পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যেও গত অর্থবছরে আমাদের পোশাক রপ্তানি ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেড়েছে। কোন দেশ কী করল, সেটা বড় কথা নয়, আমাদের রপ্তানি বেড়েছে কিনা সেটাই আসল কথা।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বাণিজ্যযুদ্ধ শুরুর পর থেকেই চীনের বড় বড় পোশাক কারখানা ভিয়েতনামে বিনিয়োগ শুরু করে।
বর্তমানে ভিয়েতনামে পোশাকশিল্পের ৬০ শতাংশ বিনিয়োগই চীনাদের। আমরা মূলত এই জায়গাতেই পিছিয়ে পড়েছি।
পাশাপাশি সুতার বাজারে অস্থিরতায় আমাদের ব্যবসায়ীদের সমস্যায় পড়তে হয়েছে। এবং করোনা মহামারীর কারণে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
তবে আমরা আমাদের পুরনো স্থান ফিরে পাবো এই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
নিউজরুম বিডি২৪।