মহামারী করোনায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে চা শ্রমিকেরা।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলছে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন তবে এ সময় সচল রয়েছে চা শিল্পের কাজ কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি ও মাস্ক ব্যবহার ছাড়াই কাজ করছে চা–শ্রমিকেরা।
এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছেন চা–শ্রমিকেরা সরেজমিনে কমলগঞ্জের বিভিন্ন চা বাগান ঘুরে দেখা যায়, চা বাগান পুরোদমে কাজ চলছে তবে করোনাকালে চা–শ্রমিকদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো প্রবনতা নেই , মাঝে মধ্যে দুই একজনের মুখে মাস্ক পরতে দেখা গেলেও অধিকাংশ শ্রমিকেরা মাস্ক ব্যবহার ছাড়াই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
তাঁদের প্রত্যেকেরই গাঁ ঘেঁষাঘেঁষি করে পাতি উত্তোলন ওজন ও গাড়িতে তুলে দিতে দেখা যাচ্ছে।
শমশেরনগর ইউপি সদস্য সীতারাম বীন বলেন চা–শ্রমিকদের মধ্যে নেই মাস্ক, মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্য বিধি।
ইতিমধ্যে আমাদের চা বাগানের কিছু স্টাফও করোনায় আক্রান্তের সংবাদ শুনতে পাচ্ছি। তবে এ অবস্থার মধ্যে মাস্ক ব্যবহার ব্যতীত ও স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সীতারাম বীন আরও বলেন, করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে দেশের চা–শ্রমিকেরা যেখানে চা পাতা তোলা হয় সেখানে স্যানিটাইজার কিংবা সাবান থাকে না এমনকি খাবারে বিশুদ্ধ পানিরও সংকট থাকে।
গাঁ ঘেঁষাঘেঁষি করে পাতি তোলা ওজন দেওয়া ও গাড়িতে লোড করতে হয় তাঁদের যা তাঁদের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি।
চা–শ্রমিকেরা জানান করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে স্বাস্থ্য বিধিসহ নিয়মিত হাত ধোঁয়ার ব্যবস্থা না থাকলে তাঁদের ঝুঁকিতে পড়তে হবে।
এ ব্যাপারে শমশেরনগর চা বাগান ব্যবস্থাপক কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করেন,
চা–বাগানের একজন কর্মকর্তা নাম ও পরিচয় গোপন রেখে বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক চা শিল্পে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কাজ করা হচ্ছে চা বাগান বন্ধ থাকলে কচি পাতি নষ্ট হবে ফলে বড় ধরনের লোকসান গুনতে হবে।
নিউজরুম বিডি২৪।