দৈনিক করোনার টিকা পাবে সাড়ে আট লাখ মানুষ
মহামারী করোনায় পুরো বিশ্ব আতঙ্কিত। বিশ্বের প্রতিটি দেশ এখন এই ভাইরাসে আক্রান্ত।
কভিড ১৯ জেঁকে বসেছে বাংলাদেশেও। প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর মতে এই মহামারী থেকে লড়াই করার একমাত্র পন্থা হলো বিশ্বের মোট জনসংখ্যা কমপক্ষে ৮০ শতাংশকে টিকার আওতায় আনা।
দেশের জনগণকে টিকার আওতায় আনতে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে।করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে টিকা দেওয়ায় গতি বাড়ছে ৭ আগস্ট থেকে।
দিনে সাড়ে আট লাখ করে প্রতি সপ্তাহে ৬০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে।দেশে বিদ্যমান সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) কার্যকর করা হবে কভিড টিকার ক্ষেত্রেও।
গ্রাম পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ, অস্থায়ী টিকাদানকেন্দ্রগুলোকেও কাজে লাগানো হবে।
স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মীরাও টিকাদান কার্যক্রমে অংশ নেবেন।
চলাফেরায় অক্ষম এবং অতি বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রয়োজনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
এ ক্ষেত্রে নিবন্ধনপ্রক্রিয়া আরো সহজতর হবে।জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে এসব কেন্দ্রে হাজির হলেই পাওয়া যাবে টিকা।
মাঠ পর্যায়ে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সারা দেশে। পাশাপাশি কোভিড টিকা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় কর্মকর্তারাও বেরিয়ে পড়েছেন মাঠের প্রস্তুতি দেখতে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাঠ পর্যায়ে টিকাদান কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন।
গতকাল এক দিনে টিকা নিয়েছেন প্রথম ডোজ হিসেবে দুই লাখ ১৭ হাজার ৫৮ জন ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন চার হাজার ৪৭৮ জন।
সব মিলিয়ে গতকাল পর্যন্ত দেশে মোট এক কোটি ২০ লাখ ৮৭ হাজার ৮৭৩ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার মন্ত্রিসভায় অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, এখন পর্যন্ত ২১ কোটি টিকা পাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে।
আগামী দুইদিনে চীন থেকে আরো ৩০ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা আসবে। এ ছাড়া আগস্ট মাসে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় ফাইজার-বায়োএনটেকের আরো ৬০ লাখ ডোজ টিকা আসছে।
এ ছাড়া পর্যায়ক্রমে অন্য কয়েকটি সোর্স থেকে টিকা আসবে। ফলে টিকার সংকট থাকছে না। যত দ্রুত সম্ভব দেশের জনগণকে টিকার আওতায় আনা হবে।
নিউজরুম বিডি২৪