মাধবপুরে খাস্টি নদীতে ফেলা হচ্ছে পৌর হাটের বর্জ্য । – Newsroom bd24.
ঢাকাসোমবার , ২৬ জুলাই ২০২১

মাধবপুরে খাস্টি নদীতে ফেলা হচ্ছে পৌর হাটের বর্জ্য ।

লিটন পাঠান, সিলেট প্রতিনিধি ।
জুলাই ২৬, ২০২১ ১২:৫৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

 

মাধবপুরে খাস্টি নদীতে ফেলা হচ্ছে পৌর হাটের বর্জ্য এতে দূষিত হচ্ছে নদীর পানি।

 

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার পৌরসভার কাটিয়ারা এলাকায় খাস্টি নদীতে ফেলা হচ্ছে পৌরহাটের বর্জ্য। এতে দূষিত হচ্ছে নদীর পানি আবর্জনা থেকে ছড়ানো দুর্গন্ধে দুর্ভোগে পড়েছে আশপাশের বাসিন্দারা।

পৌরশহরে বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক, হোটেল রেস্তোরাঁ রয়ছে এগুলো থেকে প্রচুর বর্জ্য সৃষ্টি হয় এ ছাড়া বাসাবাড়ি কাঁচা বাজারসহ বিভিন্ন দোকান পাটের ময়লা আবর্জনা হাটে স্তূপ করে রাখেন ব্যবসায়ীরা এসব ময়লা পৌরসভার নিজস্ব ভ্যানে করে নিয়ে এসে নদীর পাড়ে ফেলা হচ্ছে।

বৃষ্টি হলে বর্জ্য পড়ছে নদীতে এতে দূষিত হচ্ছে নদীর স্বচ্ছ পানি একই চিত্র দেখা গেছে নদীর কাছে নাসিরনগর রোডের কাটিয়ারা এলাকায়ও ওইখানেও ময়লার স্তূপ করে রাখা হচ্ছে এতে দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ আশপাশের বাসিন্দারা।

মাধবপুর পৌরসভার কাটিয়ারা এলাকার বাসিন্দা প্রবীর দাস বলেন ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ আমরা পৌরসভার ভ্যান গাড়িতেই ময়লাগুলো এনে এখানে স্তূপ করে রাখা হয়। কয়েকবার নিষেধ করা হলেও তারা মানছে না।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জাল হোসেন সোহেল বলেন, পরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত না করে ময়লা আবর্জনা উন্মুক্ত স্থানে রাখা এবং খাস্টি নদীতে ফেলার কারণে নদীসহ এলাকার পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ময়লা আবর্জনা ও ক্লিনিক্যাল বর্জ্য নদীতে ফেলার কারণে জলজ প্রাণীগুলো হুমকির মুখে রয়েছে এ ছাড়া নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে নদীর নব্যতাও হারাচ্ছে।

 

 

মাধবপুর পৌরশহরের তিতাস শিশু জেনারেল হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক আশেদুল বলেন, হাসপাতাল থেকে বেশি বর্জ্য তৈরি হয় না সামান্য বর্জ্য পৌরসভার মাধ্যমে ফেলা হচ্ছে। পৌরসভার সঙ্গে আমাদের একটি চুক্তি রয়েছে। মাস হিসেবে টাকা দিয়ে দিই।

হাসপাতালের বর্জ্য নদীতে পরলে ক্ষতির সম্ভাবনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিভিন্ন পরীক্ষাগারে সৃষ্ট বর্জ্য মেশিনের মাধ্যমে ক্ষতির অনুপযোগী করে পৌরসভার কাছে হস্তান্তর করা হয় মাধবপুর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শ্রীধাম দাস গুপ্ত বলেন, সাবেক মেয়র হীরেন্দ্র লাল সাহা প্রথম রাস্তার পাশে ময়লা ফেলা শুরু করেন এর পর নতুন মেয়র হাবিবুর রহমান মানিকও সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করছেন।

নতুন মেয়র ওই স্থান ছাড়াও এখন নদীতে ময়লা ফেলা শুরু করেছেন পরিবেশ দূষণ করে কখনো উন্নয়ন হয় না। নদীকে বাঁচাতে হবে। নদীর পানি স্বচ্ছ রাখতে হবে এতেই পৌরবাসী খুশি হবে।

 

 

মাধবপুর পৌরসভার কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ দাস বলেন, নদীতে বর্জ্য ফেলায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে কিন্তু এত বর্জ্য কোথায় ফেলব পৌরসভার প্রধান সমস্যা বর্জ্য অপসারণ জায়গা না থাকায় পরিবেশেরও ক্ষতি হচ্ছে মাধবপুর পৌরসভার মেয়র হাবিবুর রহমান মানিক নিউজরুম বিডি ২৪ এর রিপোর্টার লিটন পাঠানকে বলেন, এ সমস্যা পৌরসভার সৃষ্টিলগ্ন থেকেই চলছে শুরু থেকেই ওই স্থানে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে পৌরসভার খালি জায়গা রয়েছে সেখানে বর্জ্য ডাম্পিং স্টেশন করার জন্য।

জেলা প্রশাসকের নিকট একটি আবেদন দিয়েছি তিনি অনুমোদন দিলেই ওই জায়গা থেকে বর্জ্য সরিয়ে নেওয়া হবে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইসরাত জাহান নিউজরুম বিডি২৪  কে  বলেন, মাধবপুর পৌরসভা ডাম্পিং স্টেশন করার জন্য যে জায়গাটি জন্য আবেদন করেছে সেটি একটি খাল।

খাল ভরাট করে ডাম্পিং স্টেশন করার কথা বলেছেন পৌরসভা এটিও পরিবেশ দূষণের আওতায় আসে, জেলা প্রশাসক আরও বলেন আমাদের সরকারি জায়গা দেওয়ার কথা নয় পৌরসভার জমি কিনে ডাম্পিং স্টেশন করার কথা আমি সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) বলে রেখেছি, যদি সমতল ভূমি খুঁজে পাওয়া যায় এবং আবেদন করলে পরিবেশ দূষণ বিবেচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।

 

নিউজরুম বিডি২৪। 

 

   
%d bloggers like this: