জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টাইগারদের ৫ উইকেটে জয়। – Newsroom bd24.
ঢাকারবিবার , ২৫ জুলাই ২০২১

জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টাইগারদের ৫ উইকেটে জয়।

তাসকিয়া তাবাস্সুম। (ডেস্ক ঢাকা)।
জুলাই ২৫, ২০২১ ১১:১৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

 

জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টাইগারদের ৫ উইকেটে জয়।

 

জিম্বাবুয়ের রানের পাহাড় এর বিপরীতে ব্যাট হাতে সৌম্য সরকার আশার আলো দেখাচ্ছিলেন বাংলাদেশকে। এরই মাঝে টানা উইকেটের পতন ম্যাচের মোড় বিপরীতে।

শেষদিকে ঝড়ো ইনিংসে শামীম হোসেনের দুর্দান্ত পারফরমেন্সে জয়ের মুখ দেখে টাইগাররা।রোববার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ৫ উইকেটে জয় লাভ করে বাংলাদেশ ।

শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে জিম্বাবুয়ে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে।
জবাবে ৪ বল হাতে রেখেই জয় লাভ করে টাইগাররা। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সংগ্রহে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এবং জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের বিপরীতে জয়।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টাইগারদের এর আগে সর্বোচ্চ রানে রের্কড জয় ছিল ১৬৩ রানের বিপরীতে ২০১৬ সালের ম্যাচে।

টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে মাহমুদউল্লাহবাহিনীর জয় এলো ২-১ ব্যবধানে।  সফরে তিনটি ট্রফির সবগুলোই  বাংলাদেশের দখলে।

হারারেতে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশের সামনে পাহাড়সম লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় স্বাগতিকরা। ওপেনার ওয়েসলে মাধেভেরের ৫৪, রেগিস চাকাভার ৪৮, তিদওয়ানশে মারুমানির ২৭, ডিওন মায়ার্সের ২৩ ও শেষদিকে রায়ান বার্লের অপরাজিত ৩১ রানে ভর করে ১৯৩ রান তুলেছে দলটি। যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান।

জবাবে ওপেনার নাঈম শেখ মাঠে নেমে ৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন । দলীয় সংগ্রহ তখন ২০ রান।মাঠে বেশিক্ষন খেলতে পারেননি সাকিবও।১৪ বলে মাএ ২৫ রান সংগ্রহ করে সাজঘরের দিকে হাঁটেন তিনি। তবে বিদায়ের আগে সৌম্যর সঙ্গে তার জুটিতে আসে ৩২ বলে ৫০ রান। এরপর মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে লড়াই শুরু সৌম্য সরকারের।

সৌম্যের শুরুটা ধীরগতির হলেও পরবর্তীতে হাত খুলে খেলতে থাকেন । ৪০ বলে সংগ্রহ করেন ৫০ রান। এরপর লুক জঙওয়ের বলে লং অফে থাকা বদলি খেলোয়াড় মুসাকান্দার হাতে ক্যাচ তুলে দেন সৌম্য।
তবে বিদায়ের আগ মুহূর্তে তাঁর সংগ্রহে ছিলো ৪৯ বলে ৯ টি চার ও ১ টি ছক্কায় মোট ৬৮ রানের দারুণ এক ইনিংস।

বাংলাদেশের ইনিংসের ১৫তম ওভারে সংগ্রহ মাত্র ২ রান। মুজারাবনির করা ওভারের প্রথম দুই বলে সিঙ্গেল আসার পর আর কোনো রান নিতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। পরের ওভারে ছক্কা হাঁকানোর পর ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন আফিফ হোসেন। দুই ছক্কায় ৪ বলে ১৪ রান সংগ্রহ করেন এই বাঁহাতি।

এর পর শামীম হোসেনকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান মাহমুদউল্লাহ। দুজনে মিলে ১৭তম ওভারে ব্যবধান কমিয়ে আনেন দুজনে। শেষমুহূর্তে ১৮ বলে দরকার ছিল ২৮ রান।
১৮তম ওভারে রিয়াদ সিঙ্গেল নেওয়ার পর শেষ তিন বলে তিনটি চার ওঠান শামীম, সংগ্রহে আসে ১৫ রান। ফলে শেষ দুই ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩ রান।

মুজারাবানির করা ইনিংসের ১৯তম ওভারেও শামীম ঝলকের দেখা মেলে। ওভারের দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। কিন্তু চতুর্থ বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন মাহমুদউল্লাহ। টাইগার দলপতি ২৮ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৩৪ রান সংগ্রহ করেন।

বাংলাদেশের লক্ষ্য শেষ ওভারে দাঁড়ায় ৫ রান। প্রথম বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে চমক লাগিয়ে স্কোরে সমতা টানেন শামীম। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন তিনি। মাত্র ১৫ বলে ৬ চারে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।

সৌম্য সরকার বাংলাদেশের পক্ষে ২ উইকেট নিয়েছেন । ১টি করে উইকেট নিয়েছেন সাইফউদ্দিন, শরীফুল ও সাকিব।ম্যাচ ও সিরিজ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন সৌম্য সরকার।

 

নিউজরুম বিডি২৪।