বর্তমানে ৮ কোটি টিকা সংরক্ষণের সক্ষমতা রয়েছে বাংলাদেশের।স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাঁর বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।
রোববার (২৫ জুলাই) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণের অগ্রগতি পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েই চলেছে। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য যত দ্রুত সম্ভব দেশের জনগণকে টিকার আওতায় আনতে হবে। করোনা প্রতিরোধে দেশের জনগণের সুরক্ষার জন্য ২১ কোটি টাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আগামী এক বছরে ২১ কোটি টিকা দেশে আসবে। কয়েকটি দেশ থেকে টিকা আনার ব্যবস্হা করা হবে।
এখন পর্যন্ত ১ কোটি ২০ লাখের মতো লোক ভ্যাকসিনেটেড হয়েছেন। আমরা যেসকল ভ্যাকসিন অর্ডার করেছি এবং প্রতিশ্রুতি পেয়েছি তার সংখ্যা ২১ কোটি। এর মধ্যে চায়নার তিন কোটি, অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি, কোভ্যাক্সের সাত কোটি, রাশিয়ার এক কোটি এবং জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানির সাত কোটি, টিকাগুলো আগামী বছরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। মোট ২১ কোটি ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে । ভ্যাকসিনগুলো আমাদের দেশের ৮০ শতাংশ লোককে দেওয়া যাবে।
কিন্তু বর্তমানে টিকা সংরক্ষণের ব্যবস্থাপনা জরুরি। ইতোমধ্যে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য বিদেশ থেকে ফ্রিজ আনার পরিকল্পনা চলছে।
মন্ত্রী জাহিদ মালেক আরও বলেন ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা সংরক্ষণ করতে হয় হিমাঙ্কের নিচে মাইনাস ৯০ ডিগ্রি থেকে মাইনাস ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।
এর ফলে এ টিকা সংরক্ষণ করতে আল্ট্রা কোল্ড ফ্রিজারের প্রয়োজন হবে। আর পরিবহনের জন্য থার্মাল শিপিং কনটেইনার বা আল্ট্রা ফ্রিজার ভ্যান প্রয়োজন হবে। টিকা রাখার ব্যবস্থাপনা জরুরি। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য বিদেশ থেকে ফ্রিজ আনার পরিকল্পনা চলছে।
নিউজরুম বিডি২৪।