কঠোর লকডাউনেও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলছে যাত্রীবাহী বাস।
আজ ভোর থেকে শুরু হলো সরকার কর্তৃক পূর্বঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন। কঠোর লকডাউন এর আওতায় বন্ধ রাখা হয়েছে সকল শিল্প-কারখানাসহ, দোকানপাট শপিং মল এবং যাএীবাহীপরিবহন। কেবলমাত্র জরুরী সেবা দানকারী এবং খাদ্যদ্রব্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে লকডাউন এর আওতামুক্ত রাখা হয়েছে। অন্যান্য লকডাউনে গার্মেন্টস খোলা রাখা হলেও এবার সবগুলো গার্মেন্টস বন্ধ রাখা হয়েছে।
কঠোর লকডাউন এর আওতায় সকল যাএীবাহী পরিবহন বন্ধ রাখার ঘোষণা থাকলেও, লকডাউনের প্রথম দিনে আজ সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বেশকিছু পরিবহন চোখে পড়ে। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় পরিবহন সংখ্যা কম ছিল। পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যাও ছিল তুলনামূলক অনেক কম।
যাত্রীবাহী ঢাকামুখী পরিবহনগুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ সদস্যের কাছ থেকে জানা যায়, বেশিরভাগ পরিবহনই মধ্যরাতে এসে মহাসড়কে পৌঁছেছে, মানবিক কারণে আমরা তাদের যেতে দিচ্ছি। এদের অধিকাংশই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শহরের প্রবেশ করতে পারেননি। তবে দুপুরের পর থেকে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে যাবে বলে জানা যায়।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার কর্তৃক ঘোষিত নির্দেশনার সব গুলো কঠোরভাবে পালন করতে সচেষ্ট রয়েছে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।
তবে এবার পোশাক শিল্প কারখানা বন্ধ ঘোষণা করার ফলে ঢাকামুখী মানুষের চাপ অনেকটাই কম ছিল। ১৪ দিনের এই কঠোর লকডাউন এর ফলে করোনার সংক্রমণ কতটুকু নিয়ন্ত্রণে আনা যায় সেটাই এখন দেখার বিষয়।
সরকার এবং প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ বারবারই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে সকলকে উদ্বুদ্ধ করছেন। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রুখতে পারে এই বৈশ্বিক মহামারী।
- নিউজরুম বিডি ২৪