বিলুপ্তিরর পথে দেশীয় প্রজাতির মাছ। – Newsroom bd24.
ঢাকাসোমবার , ১৯ জুলাই ২০২১

বিলুপ্তিরর পথে দেশীয় প্রজাতির মাছ।

লিটন পাঠান, সিলেট প্রতিনিধি
জুলাই ১৯, ২০২১ ১১:০৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

 

বিলুপ্তিরর পথে দেশীয় প্রজাতির মাছ।

 

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে সর্বত্র প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ কারেন্টজাল। এতে করে বিভিন্ন ধরণের দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির পথে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নীরব ভূমিকাই দায়ী বলে মনে করেন অনেকেই।

হবিগঞ্জের ভাটি এলাকার বন্দর নামে সুখ্যাতি রয়েছে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার। শুটকি মাছ সহ দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন ধরণের মাছে ভরপুর ছিল ওই উপজেলা সহ পার্শ্ববর্তী এলাকা সমূহ। আজমিরীগঞ্জ থেকে শুটকি দেশের বিভিন্ন শহর ও গ্রাম গঞ্জে সরবরাহ হত এমন কি দেশের বাহিরেও রপ্তানি করা হত। এ ছাড়া দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন ধরণের মাছ বাজারে ভরপুর থাকত এলাকার লোকজনের চাহিদা পূরণ করে ওই মাছ দেশের নামকরা শহর বন্দর এমন কি বিদেশেও রপ্তানি করা হত।

নূতন প্রযুক্তিতে উদ্ভাবিত মাছ পাওয়া দুষ্কর ছিল ওই এলাকায়। বিগত ৮ থেকে ১০ বছর পূর্বেও আকাল ছিল না দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন ধরণের মাছের। কুশিয়ারার কালনী, ভেড়ামোহনা ও বশিরা নদীতে এ ছাড়া বর্ষা মৌসুমে হাওরে এলাকার এক শ্রেণীর অসাধু জেলে নিষিদ্ধ কারেন্টজাল ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের দেশীয় প্রজাতির মাছ শিকার করার কারণে মাছ আকাল পড়েছে ওই এলাকায়।

আজমিরীগঞ্জ পৌরসদরের টানবাজার ও চরবাজারের বেশ’কটি দোকান এ ছাড়াও হাটবার দিনঊ রামকৃষ্ণ মিশন রোডের চরবাজারের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের অদূরে একটি চায়ের দোকান সংলগ্ন স্হানে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ কারেন্টজাল।

এ ছাড়া বদলপুরের পাহাড়পুর বাজারের ৪টি জলসুখায় ২ টি শিবপাশার সবুজগঞ্জ বাজারে ৩ টি ও কাকাইলছেও চৌধুরীবাজারে ৩ টি ব্যবসা প্রতিষ্টানে নিষিদ্ধ কারেন্টজাল বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়াও ইউনিয়নের ওইসব বাজারে কোন কোন সময় প্রকাশ্যেও বিক্রি করছে অসাধু বিক্রেতারা।

গতকাল রবিবার সকাল অনুমানিক ১১ টায় কুশিয়ারার কালনী নদী সহ পার্শ্ববর্তী হাওরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ডিঙ্গি নৌকায় জেলেরা নিষিদ্ধ কারেন্টজাল দিয়ে, এ ছাড়া হাওরের জলাশয়ে বা নদীতে দীর্ঘ সময় নিষিদ্ধ কারেন্টজাল পেতে রেখে বিভিন্ন ধরণের দেশীয় প্রজাতির মাছ আহরণ করছে।

আজমিরীগঞ্জ মাছবাজারে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এক অসাধু মাছ বিক্রেতা একটি বাসনে করে দেশীয় প্রজাতির পোনামাছ বিক্রি করছে। এতে করে দেশীয় মৎস্যভান্ডার বলে খ্যাত হাওর ও জলাশয়ে মাছ শূন্য হয়ে পড়েছে। তাই অচিরেই পোনামাছ নিধন করা ও নিষিদ্ধ কারেন্টজাল বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অচিরেই ব্যবস্হা নেয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

 

নিউজরুম বিডি২৪

 

   
%d bloggers like this: