কোরবানি ঈদ পরবর্তী বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নগরবাসীর দায়বদ্ধতা। – Newsroom bd24.
ঢাকারবিবার , ১৮ জুলাই ২০২১

কোরবানি ঈদ পরবর্তী বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নগরবাসীর দায়বদ্ধতা।

কলাম লেখক - সৈয়দ মিজানুর রহমান।
জুলাই ১৮, ২০২১ ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

 

কোরবানি ঈদ  পরবর্তী বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নগরবাসীর দায়বদ্ধতা।

 

মুসলিম সম্প্রদায়ের দুটি বৃহৎ উৎসবের মধ্যে একটি হচ্ছে ঈদুল আজহা (কুরবানীর ঈদ)।
এই দিনকে ঘিরে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আল্লাহর নামে পশু কুরবানী করে। ঈদের মহিমায় উদ্ভাসিত করে জীবন।
শত প্রতিকূল  মাঝেও  কখনো মলিন হয় না ধর্মীয় আনন্দ-উৎসব গুলো ।

উন্নত বিশ্বে পশু জবাই দেয়ার নির্দিষ্ট স্থান থাকলেও আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় পশু জবাই দেয়া টাই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন এবং চলমান আছে। যদিও ঢাকা সিটি কর্পোরেশন গত ৩ বছর যাবৎ আয়োজন করে চলেছে নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাই দেবার ব্যবস্থা। আমরা অনেকেই পশু জবাই দেয়ার পরে পশুর বর্জ্য যত্রতত্র ফেলে রেখে মাংস বানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। আমাদের সবাই কে মনে রাখা উচিত, আমাদের অব্যবস্থাপনার কারণে প্রাকৃতিক ও সামাজিক পরিবেশ যাতে নষ্ট না হয়।

 

 

আপনার আমার চারপাশ থাকুক পরিচ্ছন্ন আর জীবাণুমুক্ত, আমাদের একটু অবহেলায় যেন নগরী না হয় বর্জ্য ভাগাড়। এই প্রচেষ্টা আর সদিচ্ছা সবার মন থেকে যেন জেগে ওঠে, শুধুমাত্র সিটি করপোরেশনকে দায়িত্বভার চাপিয়ে দিয়ে আমরা যেন দূরে সরে না যাই। নিজেদের দায়িত্ববোধ থেকে পশু কোরবানির বর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে ফেলি। কোরবানির বর্জ্য কোথাও অযাচিত ভাবে না ফেলে রেখে যথাযথভাবে এর পরিষ্কারকরণ ব্যবস্থাপনা নিজেরাই যেন সম্পন্ন করি,তাতে আমরাই পারি আমাদের চারপাশকে পরিচ্ছন্ন রাখতে।

আমাদের একটু ব্যক্তিগত দায়িত্ববোধ হিসেবে প্রয়োজনীয় স্থানে পানি দিয়ে ধুয়ে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে স্থানগুলো নিরাপদ পরিচ্ছন্ন রাখতে পারি।

বাস্তবিকপক্ষে ড্রেনেজ ব্যবস্থা এখনও বেশ নাজুক তাই কোরবানির বর্জ্য গুলো যাতে ড্রেনেজ এরিয়ায় ফেলা থেকে আমরা বিরত থাকি।

এই বর্জ ব্যাবস্হাপনায় সিটি কর্পোরেশন মূল ভুমিকা পালন করে। পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগে চলছে না না কার্যক্রম।

 

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৫৪ টি ওয়ার্ড নিয়ে সম্পূর্ণ বেসরকারি একটি উদ্যোগ এর নাম হচ্ছে প্রাইমারি ওয়েস্ট কালেকশন সার্ভিস প্রোভাইডার ( PWCSP)।
উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট নাহিদ আক্তার লাকি এর সাথে কুরবানীর পূর্ব ও পরবর্তী বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে কথা বলেছেন নিউজরুম  ২৪বিডি এর নিজস্ব প্রতিবেদক।

(PWCSP) এর প্রেসিডেন্ট লাকি আক্তার জানান, ৫৪ টি ওয়ার্ডের তাদের প্রতিষ্ঠান প্রায় ৯ হাজার পরিচ্ছন্নকর্মী ও ৫০০০ টি বর্জ্য পরিবহন ভ্যান নিয়ে প্রাত্যাহিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে নানা প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও কাজ করে যাচ্ছেন।
শুধুমাত্র সিটি কর্পোরেশনের একটি অনুমতি পত্র পেয়ে ই তাদের এমন প্রচেষ্টা।

 

 

প্রতিটি পরিবার থেকে ৫০-১০০ হিসেবে সার্ভিস চার্জ গ্রহণ করে তা দিয়েই সমস্ত ব্যয় ভার মেটাচ্ছেন সকল পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের।

যদিও সিটি কর্পোরেশন হতে এখনো উল্লেখযোগ্য কোন অনুদান তাদের প্রতিষ্ঠান পায়নি এখনো, তথাপিও চলছে তাদের এই কার্যক্রম প্রচেষ্টা রয়েছে বাস্তবতার সাথে তাল মিলিয়ে তাদের কার্যক্রমে আরো আধুনিকরণের ছোঁয়া দিতে নগরবাসীদের। সকলকে সাথে নিয়ে একটি পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার দেয়ার প্রচেষ্টা রয়েছে তাদের।

শুধুমাত্র কোন প্রতিষ্ঠান সিটি করপোরেশনকে দায়ভার দিয়েই আমরা যেন পিছিয়ে না যাই। এ নগরি আমার আপনার আর আমাদের আগামী প্রজন্মের, আমাদের আগামী প্রজন্মকে পরিচ্ছন্ন একটি নগরী যেন আমরা উপহার দিতে পারি এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।

 

নিউজরুম বিডি২৪।