- স্ত্রী সুবর্ণা খাতুন (২১) কে যৌতুকের জন্য পিটিয়ে হত্যা করে স্বামী সাগর হোসেন (২৫)। পরে আত্মহত্যা বলে চালানোর জন্য সিলিং এর সাথে ওড়না বেঁধে ঝুলিয়ে দেয় লাশ। এ ঘটনা ঘটে নাটোরের গুরুদাসপুরে মতিবাড়ী এলাকায়।
এ ঘটনার পর, ১৫ জুলাই সুবর্ণার বাবা হাফিজুল সর্দার বাদী হয়ে নাটোরের গুরুদাসপুর থানায় সাগর হোসেন এবং তার মা সাবিনা বেগম কে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। একইদিনে ১৫ জুলাই সাগর হোসেনের মা সাবিনা বেগম কে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার ১৭ জুলাই রাতে সিআইডির একটি দল অভিযান চালিয়ে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের মিয়ার বাজার থেকে গ্রেফতার করে আসামি সাগর হোসেনকে।
রোববার ১৮ জুলাই দুপুরে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
মুক্তা ধর বলেন, ১৩ জুলাই রাতে আসামি সাগর সুবর্ণাকে মুখে কাপড় গুঁজে লাঠি দিয়ে নৃশংসভাবে মারধর করে। মারধরের একপর্যায়ে সুবর্ণা মারা যায়। তারপর আসামি সাগর তার অপরাধ চাপা দেয়ার জন্য গলায় ওড়না পেচিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে দেয় লাশ। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক ছিল।
১৭ জুলাই রাতে সিআইডির একটি দল তাকে গ্রপ্তার করে।
সুর্বনা এবং সাগরের বিয়ে হয় তিন বছর আগে। বিয়ের পর থেকেই সাগর সুবর্ণার পরিবারকে যৌতুকের জন্য চাপ দিয়ে আসে। সম্প্রতি সাগর সুবর্ণার পরিবারের কাছ থেকে এক লাখ টাকা দাবি করে। যা দিতে অস্বীকৃতি জানায় সুবর্ণার বাবা। যৌতুকের জন্য স্ত্রীর প্রতি অমানবিক নির্যাতন চালায় সে। এর জের ধরেই সুবর্ণাকে হত্যা করে আসামি সাগর।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাগর তার হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে বলে সাংবাদিকদের জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
- নিউজরুম বিডি ২৪