- শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন জার্মানি।
- পশ্চিম ইউরোপের কয়েকটি দেশে ভারী বর্ষণের ফলে আকস্মিক বন্যায় মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১৪০ জনের। নিখোঁজ রয়েছেন বহু মানুষ। ঘরবাড়ি, দোকানপাট, রাস্তাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা তলিয়ে গেছে পানির নিচে। বিগত ১০০ বছরের মধ্যে ভয়াবহ বন্যা এটি।
- বন্যায় কেবলমাত্র জার্মানিতেই মারা গেছে ১২০জন, নিখোঁজ রয়েছেন কয়েক শত।
রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাতের ফলে জার্মানির নদীগুলো পানিতে ভরে গেছে। প্লাবিত হয়েছে দুপারের ছোট গ্রাম ও শহর গুলো। দেশটিতে বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় আছে প্রায় পৌনে দুই লাখ মানুষ। পশ্চিম ইউরোপের একটি বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারী বর্ষণ ও টানা বৃষ্টিপাতের ফলে জার্মানি ছাড়াও বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ড ও সুইজারল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি দেশে দেখা দিয়েছে বন্যা। বেলজিয়ামে কমপক্ষে ২০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় শতাধিক।
জার্মানিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
রাইনল্যান্ড – প্যালাটিনেট এবং নর্থ রাইন- ওয়েস্টফ্যালিয়া রাজ্য দুইটি। এখানকার প্রায় অধিকাংশ ঘরবাড়ি, রাস্তা তলিয়ে গেছে পানির নিচে। মারা গেছেন অনেকেই, নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় শতাধিক মানুষ। জরুরী সেবা দানকারী সংস্থা ফায়ার ব্রিগেড এবং সেনাবাহিনীর সদস্য গণ উদ্ধার কাজ পরিচালনা করছেন।
জার্মানির এই দুই রাজ্যে ঘোষণা করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। পুরো জার্মানিতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার এবং নিরাপদ স্থানে নিয়ে যেতে সহায়তা করতে প্রায় ১৫ হাজার পুলিশ, সেনাবাহিনীর সদস্য এবং জরুরী সেবা দানকারী সংস্থার সদস্যগণ নিয়োজিত আছে।
জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলীয় আরভাইলার জেলার কর্মকর্তারা বলছেন প্রায় তেরোশো মানুষের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এখানকার শুল্ড গ্রামটি পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
এরফস্টাট -ব্লেজেম শহরে একসাথে অনেকগুলো বাড়ি ধসে পড়েছে বলে জানা যায়। ক্ষতিগ্রস্ত শহরগুলোতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রত্যেককে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এখানকার প্রায় কয়েক হাজার লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বিগত প্রায় ৬০ বছরের মধ্যে জার্মানিতে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা। ধারণা করা হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অসময়ে এধরনের ভারী বর্ষণ হচ্ছে। যার ফলে সৃষ্ট হয়েছে তীব্র বন্যা পরিস্থিতি।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লাইন সতর্ক করে বলেন, ইউরোপের এই বন্যা পরিস্থিতি জলবায়ুর পরিবর্তনের একটি কড়া ইঙ্গিত। জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধে সবাইকে এখনই সচেষ্ট হতে হবে। তা না হলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ দিকে যেতে পারে।
- নিউজরুম বিডি ২৪