পশুর হাটগুলোতে মানা যাচ্ছে না করোনার স্বাস্থ্যবিধি।
আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ঢাকা দুই সিটি করপোরেশনের বসেছে ২১ টি পশুর হাট। হাট বসানোর ক্ষেত্রে ৪৬ টি নির্দেশনা থাকলেও পরিপূর্ন ভাবে নির্দেশনা মানা হচ্ছে না হাটগুলোতে।
হাটগুলোতে ঘুরে এসে সহকর্মী মামুন জানায়, ক্রেতা বিক্রেতাদের অনেকের মুখেই মাস্ক নেই। গরুর হাটের গেটের স্যানিটেশন ব্যবস্থা থাকার কথা থাকলেও চোখে পড়ে নি কোথাও।
তবে প্রতিটি হাসিল ঘর থেকেই কিছুক্ষণ পরপর স্বাস্থ্য বিধি মানার ঘোষণা আসছে।
বিক্রেতা ও ক্রেতাদের জন্য যে ৪৬টি শর্ত দেয়া হয়েছে তার বড় একটি অংশ করোনায় স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক সংক্রান্ত৷
পশুর হাটের স্বাস্থ্যবিধি,
গরুর হাটে পুরো স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে ৷ গরুগুলোকে এমনভাবে রাখতে হবে যাতে ক্রেতারা নিজেদের মধ্যে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে হাটে অবস্থান করতে পারেন৷ সেভাবেই হাটে গবাদি পশু তুলতে হবে৷ এর বেশি পশু রাখা যাবে না৷
হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা সবাইকে মাস্ক পরতে হবে৷ গরু কিনতে দুই জনের বেশি হাটে যেতে পারবেন না৷
হাটের আয়তন অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব রেখে যত জন ক্রেতা এক সঙ্গে প্রবেশ করতে পারেন, ততজন প্রবেশ করবেন৷ বাকিরা বাইরে অপেক্ষা করে পর্যায়ক্রমে প্রবেশ করবেন৷
হাটে প্রবেশের পথে শরীরের তাপমাত্রা মাপা ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকবে৷ হাটের ভিতরেও হাত ধোয়ার ব্যবস্থা৷হ্যান্ডস্যানিটাইজারের ব্যবস্থাও রাখতে হবে প্রতিটি হাটে৷
হাটে আইসোলেশন সেন্টার ও মেডিকেল টিম থাকবে৷ তারা প্রয়োজন হলে কাউকে দ্রুত আইসোলেশন সেন্টারে নিয়ে যাবেন৷
থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালত, সিটি কর্পোরেশনের টিম এবং জাল টাকা চিহ্নিত করার বুথ৷ কোনো হাটে জোর করে গরু নেয়া যাবে না৷
বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন স্বাস্থ্যবিধি র অবহেলার কারণে ঈদ পরবর্তী সময়ে, করোনা সংক্রমণে বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে দেশ। তাই সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাটে গমনের আহবান করেন।
- নিউজরুম বিডি২৪।