দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে ১লা জুলাই থেকে যা গতকাল ১৪ ই জুলাই শেষ হয়। ঈদ-উল-আজহা কে কেন্দ্র করে লকডাউন কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। কিন্তু ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত পুনরায় কঠোর লকডাউন অর্থাৎ শাটডাউনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
পূর্বের লকডাউনে শিল্প কারখানা খোলা থাকলেও ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউন এর আওতায় সকল শিল্প কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।
ঈদের পর শাটডাউন এর আওতায় শিল্প কারখানা বন্ধ থাকলে দেশের বৃহওর রপ্তানি খাত পোশাক শিল্প চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন পোশাক শিল্প কারখানা মালিকগণ। তারা মনে করেন পোশাক শিল্প কারখানাগুলো বন্ধ থাকলে বায়াররা তাদের অর্ডার ক্যান্সেল করবেন এবং অর্ডারগুলো অন্য দেশের প্রতি ঝুকে যাবে। এতে পোশাকশিল্প খাত হুমকির সম্মুখীন হবে।
- তাই মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এর সঙ্গে দেখা করে পোশাক শিল্প কারখানা গুলো খোলা রাখার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি দিয়েছেন পোশাকশিল্প মালিকদের বেশ কয়েকটি সংগঠন।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এ সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন তৈরি পোশাক শিল্পসংশ্লিষ্ট সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ , বিটিটিএলএমইএ এবং বিজিএপিএমই এর নেতারা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে দেখা করে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ শিল্প কারখানা খোলা রাখার দাবি জানিয়েছি আমরা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব আমাদের জানিয়েছেন, শনিবার তারা বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করবেন। বৈঠকের পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’
তিনি বলেন, যদি পোশাক কারখানা লকডাউনে খোলা রাখা না হয় তাহলে বায়াররা অর্ডার বাতিল করে অন্য দেশের প্রতি ঝুকে যাবে। এতে দেশের পোশাকশিল্প খাত হুমকির মুখে পড়বে।
তিনি আরো জানান, কারখানার শ্রমিকদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে। যার ফলে কর্মক্ষেত্রে সুশৃংখল ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে তারা থাকছে এবং শ্রমিকদের মধ্যে সংক্রমণের হার অনেক কম।
পোশাক শিল্প কারখানা খোলা রাখার দাবিটি সরকার বিবেচনা করে কারখানা খোলা রাখার অনুমতি দেবে বলে আশা ব্যক্ত করেন নেতারা।
নিউজরুম বিডি ২৪