ঘরমুখো মানুষ ও পশু পরিবহন এর চাপে দৌলোদিয়া ঘাটে ৮ কিলোমিটার গাড়ির সারি।
করোনার সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন শেষ হয় গতকাল । ২৩ শে জুলাই সকাল ৬ টা পর্যন্ত শিথিল করা হয়েছে লকডাউন । তাই ঈদকে সামনে রেখে রাস্তায় বাড়ছে ঘরমুখো মানুষের ভিড়।
ঢাকার সাথে দক্ষিণবঙ্গের সড়ক যোগাযোগের সেতুবন্ধন-এর কাজ করছে মাওয়া ও দৌলদিয়া ফেরি। প্রতিবছর বিশেষ দিনে কেন্দ্র করে এই ঘাটে মানুষের মানুষের সমাগম বেশি ঘটে। তাই ভেঙে পড়ে স্বাভাবিক চলাচলের ব্যবস্থা। এবার ও ঈদ কে কেন্দ্র করে ও একই অবস্থা বিরাজ করছে ঘাটগুলোতে। আজ সকালে ঘাটগুলো তো দেখা পারাপারের গাড়ির লম্বা সারি। শিমুলিয়া ঘাট এর স্বাভাবিক গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেলেও দৌলতদিয়া ঘাটে রয়েছে গাড়ির বিশাল লম্বা সারি।
বিআইডব্লিউটিএ’র শিমুলিয়া ঘাট এর সহকারি পরিচালক শাহাদাত হোসেন জানায়, এই রুটে বর্তমানে ৭৮ টি লঞ্চ চলাচল করছে। এবং ঘাটগুলোতে যাত্রীদের খুব একটা চাপ নেই।
তবে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র, যানবাহনের বিশাল সারি প্রায় ৮ কিলোমিটার পর্যন্ত লম্বা লাইন হয়েছে।
ঘাট সহকারী পরিচালক জানায়, পশুপাখি ট্রাকের চাপ এবং নদীতে প্রবল স্রোতে স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে তাই এই বিশাল লম্বা লাইন।
কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাগামী করিম নামে এক গরু ব্যবসায়ী জানায়, সে গতকাল সন্ধ্যা থেকে ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় আছে গরমে গরু গুলো অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র উপ-ব্যবস্থাপক ফিরোজ শেখ বলেন এই রুটে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৫ টি ফেরি চলাচল করছে, নদীতে তীব্র স্রোত প্শুবাহী ট্রাকের চাপের কারণেই মূলত এই রুটে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
- নিউজরুম বিডি২৪।