ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে (ডিএনসিসি) কোরবানির পশু বিক্রির জন্য পাঁচটি অস্থায়ী হাটের ইজারা চূড়ান্ত করা করেছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় শেষ মুহূর্তে এ সংখ্যা পরিবর্তন আসতে পারে।
তবে, অনলাইন হাটের দিকে জোর দিচ্ছে সিটি কর্পোরেশন।
আনুষ্ঠানিকভাবে ডিএনসিসির কোনো কর্মকর্তা হাটের বিষয়ে বক্তব্য না দিলেও পাঁচটি হাট ইজারার জন্য চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
ডিএনসিসির একটি সূত্রে জানা যায়, এরই মধ্যে ইজারা চূড়ান্ত করে ইজারাদারদের নামে হাট বরাদ্দের প্রক্রিয়া প্রায় শেষের পথে।
পাঁচটি হাট হচ্ছে- বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং (আফতাবনগর) ব্লক-ই-সেকশন ৩ এর খালি জায়গা, কাওলা শিয়াল ডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা, ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড পূর্বাচল ব্রিজ সংলগ্ন মস্তুল ডুমনী বাজারমুখী রাস্তার উভয় পাশের খালি জায়গা, উত্তরখান মৈনারটেক হাউজিং প্রকল্পের খালি জায়গা এবং মিরপুর ৬ নম্বর ইস্টার্ন হাউজিংয়ের খালি জায়গা।
এছাড়া গাবতলীতে থাকা স্থায়ী পশুর হাট নিয়ে এবার অন্তত ছয়টি হাট বসতে যাচ্ছে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে।
পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, যেহেতু কোরবানি নিয়ে সবার মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য থাকে, তাই হাটে প্রচুর লোক সমাগম হয়। ফলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি তো বাড়বেই। ক্রেতা-বিক্রেতার সরব উপস্থিতিতে হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানানো একটি চ্যালেঞ্জের বিষয়। খুব ভালোভাবে হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানানো অতটা সহজ কাজও নয়। সম্প্রতি আমরা একটি প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম এ বিষয়ে। সেটি হচ্ছে, সরকারি আয়োজনে কোনো দামাদামি না করে এক দামে অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রি করা যেতে পারে। তারপরও যদি হাট বসাতেই হয়, সে ক্ষেত্রে কার্যকরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানানোর পদক্ষেপ নিতে হবে সিটি কর্পোরেশনকেই। করোনায় হাট যত কম করা যায়, ততই উত্তম।
ফিজক্যাল হাট বসলেও অনলাইন হাটের দিকেও জোর দিচ্ছে সিটি কর্পোরেশন। ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, সরাসরি হাট বসলে আমরা রাজস্ব পাই সিটি কর্পোরেশন এর লাভ। কিন্তু করোনার কারণে আমরা এবার অনলাইনেই জোর দিচ্ছি। দুই একটি বড় হাট এরই মধ্যে বাতিল করেছি। সেখান থেকে কিন্তু ভালো রাজস্ব পেতাম।
অনলাইনে গরু কেনার আহ্বান জানিয়ে মেয়র আতিক বলেন, ই-ক্যাবের সহযোগিতায় আমরা গতবার প্রথম অনলাইনে ‘ডিজিটাল হাট’ বসাই। এবারও সেটি রয়েছে। এখান থেকে পশু কিনলে ক্রেতা চাইলে আমরাই কোরবানি করে মাংস কেটে ফ্রিজার গাড়িতে তার কাছে পৌঁছে দেব। ১২ জুলাই বুকিং দেওয়ার শেষ দিন। আমাদের অন্তত এক হাজার গরুর জন্য প্রস্তুতি রয়েছে।
নিউজরুম বিডি২৪।